ভুভুজেলার ব্যবসা রমরমা চীনে
১৯ জুন ২০১০চীনের পূর্বাঞ্চলের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি প্লাস্টিক কারখানা জিয়াং কর্পোরেশন৷ বিশ্বকাপ ঘিরে ভুভুজেলা বানানো শুরু করে তারা৷ বছরের প্রথম চার মাসেই বিক্রি ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়৷ কারখানার মহাব্যবস্থাপক উ ইজুন বলেন, আরো ৫ লাখ ভুভুজেলা তৈরি হচ্ছে৷ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই তা বাজারে আনতে হবে৷ এজন্য পুরোদমে কাজ চলছে ওই কারখানায়৷ ইজুন জানান, তারা ৩৭ রকমের ভুভুজেলা তৈরি করছেন৷ আর এতদিন বিদেশে পাঠালেও এখন দেশের বাজারেও বাড়ছে চাহিদা৷ স্থানীয় বাজারে প্রতিটি ভুভুজেলা বিক্রি হচ্ছে দুই ইউয়ানে, যা ২৯ সেন্টের সমপরিমাণ৷
চীনের পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকায় যত ভুভুজেলা বাজছে, তার ৯০ শতাংশই গেছে চীন থেকে৷ বিশ্বকাপে এবার চীন নেই, তাতে কী? ভুভুজেলা ব্যবসা তো হচ্ছে৷ আর তা যে রমরমা, তা ইজুনের কথাই পরিষ্কার৷ তিনি আশা করছেন, এই বছর শেষে তার প্রতিষ্ঠানের আয় দ্বিগুণ হবে৷ আর তা ভুভুজেলার কেরামতিতে৷
গুয়াংডং প্রদেশের চেংহাই এলাকার প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে মূলত খেলনা বানানো হয়৷ লাভ দেখে এখন তারাও নেমে পড়েছে ভুভুজেলা বানাতে৷ চাহিদা অনেক, তাই কাজ চলছে রাতদিন৷ কোম্পানিগুলো মনে করছে, বিশ্বকাপ শেষ হলেও ভুভুজেলার চাহিদা ফুরিয়ে যাবে না৷ বেশ কিছুদিন থাকবে, তাই আরো বানাতে হবে৷ তার মানে হলো, বিশ্ববাজারে কিছুদিনের জন্য খেলনার সরবরাহে টান পড়তে পারে৷
ভুভুজেলা বিক্রি যতই বাড়ছে, খেলার সময় গ্যালারিতে বনবন শব্দও বাড়ছে৷ আর তা নিয়ে আপত্তি-বিরক্তি তো শুরু থেকেই চলছে৷ তবে ফিফার সায় ভুভুজেলাতেই৷ তাই বলে কানে তুলা গুঁজে তো আর খেলা দেখা যায় না৷ তবে কী করা? এর একটা সমাধান বের করেছে ফ্রান্সের চ্যানেল প্লাস টিভি৷ তারা এক প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু ভুভুজেলার শব্দ আলাদা করতে পেরেছেন, এরপর তা কমিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে টিভিতে খেলা দেখার সময় মাঠের অন্য সব শব্দ শোনা গেলেও ভুভুজেলার শব্দে কান ঝালাপালা হবে না৷ টিভি কর্তৃপক্ষ বলছে, গতকালের আর্জেন্টিনা আর দক্ষিণ কোরিয়ার খেলায় তারা এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে দেখেছেন, তাতে ফলও পাওয়া গেছে৷ টিভিতে না হয় শোনা গেলো না, কিন্তু মাঠে ভুভুজেলার আওয়াজ রুখবে কে?
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক