1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিডিও ভাইরাল করা শেখাবে বিশ্ববিদ্যালয়

২৪ জুন ২০১৭

একটা ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করতে হয়, চীনে শিক্ষার্থীদেরকে সেই শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে, যাতে তাঁরা এটাকে কাজে লাগিয়ে পেশাগত জীবনে সফল হতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/2fFsP
China Handy Internet
প্রশিক্ষণের ফাঁকে দুই শিক্ষার্থীছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele

জিয়াং মেঙ্গা একজন শিক্ষার্থী৷ ২১ বছর বয়সি এই শিক্ষার্থী ক্লাসে শেখা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তাঁর ক্যাম্পাসের এখানে-সেখানে ঘোরাফেরা করেন৷ এ সময় তাঁর হাতে থাকে সেলফি স্টিক, যা প্রায় সব সময় উপরেই উঠানো থাকে৷ তিনি তাঁর তাৎক্ষণিক চিন্তাগুলো ‘লাইভ’ করেন৷ মাঝে মাঝেই ক্যামেরার দিকে শূন্যে চুম্বন ছুড়ে দেন৷

চীনে প্রায় ৭০ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে৷ তাদের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহার করা হয় এই দক্ষতা৷ এই কাজে নিয়োজিতদের বলা হয় ‘ওয়াংহং’৷ এদেরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের শিল্প৷ সুতরাং এটা প্রভাবিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামকেও৷

China Handy Internet
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele

ওয়াইআইডাব্লিউইউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল কলেজে জিয়াং মেঙ্গার আরো ৩৩ জন সহপাঠী রয়েছে৷

কিভাবে আরো কেতাদুরস্ত পোশাক পরা যাবে, মেক-আপ প্রয়োগ করা যাবে, ক্যামেরায় কিভাবে কাজ করতে হবে ইত্যাদি সেখানকার ক্লাসরুমে শেখানো হয়৷ একইসঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের সঙ্গেও৷

জিয়াং বলেন, যে পোশাকে আমাকে সুশ্রী দেখাবে এবং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবো–আমি তেমন পোশাক পরতে চাই৷ এই শিক্ষা সত্যিই আমার জন্য খুব উপযোগী৷

তিনি সাংহাইয়ের নিকটবর্তী এই কলেজে ‘মডেলিং এবং অ্যাটিকেট’-এ মেজর নিয়ে পড়ছেন৷

নাচের শিক্ষক হুউ শিয়াওনান বলেন, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি খুব দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে৷ এ কারণে এই বিষয়ে পড়ুয়াদের চাহিদাও বাড়ছে৷

২০ বছর বয়সি ওয়াং শিন প্রথমে পড়তে গিয়েছিলেন অ্যাকাউন্টিং৷ সেখান থেকে মেজর বদলে এই বিষয়ে চলে এসেছেন৷

ওয়াং হুউহুউ এবং তাঁর বন্ধু ওয়াং রুহানকে এই শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করার চেষ্টা করে৷

ভালো ভালো ফ্যাশন এবং কোথায় সেটা পাওয়া যাবে – তা নিয়ে তাঁরা গত বছর চীনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওই জুটি পোস্ট দেয়া শুরু করেন৷ এই শখ এক সময় উপার্জনের উপায় হয়ে যাবে, শুরুতে তারা এটা ভাবতেও পারেননি৷

তাঁদের এই পোস্ট দ্রুতই লাখ লাখ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ বিক্রেতারা স্বীকৃতি পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে৷ এখন তাঁরা তাঁদের সাইবার-খ্যাতি কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন৷ প্রতিষ্ঠা করেন একটি ই-কমার্স ফ্যাশন ব্যবসা৷

ওয়াং হুউহুউ বলেন, ‘‘আমি এমন একটি আকর্ষণীয় আইটেম খুঁজে বের করি, যেটা আমি পরবো৷ সেটার ছবি তুলে ব্লগে পোস্ট করে দেই৷ এরপর মানুষ সত্যিই সেখানে যাবে এবং সেটা ক্রয় করবে৷’’

ইন্টারনেট কনসালটেন্সি অ্যানালাইসিস ইন্টারন্যাশনালের মতে চীনের ওয়াংহং শিল্পের মূল্য এখন ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০১৮ সাল নাগাদ তা দ্বিগুন হয়ে যাবে৷

এএফপি/এসএন (এএফপি)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷