1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তান শান্তি প্রক্রিয়া আবার শুরু হচ্ছে ১৫ই জুলাই

১১ মে ২০১০

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা পাকিস্তানে যাচ্ছেন ১৫ই জুলাই৷ মঙ্গলবার দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে টেলি-কনফারেন্সে এটা স্থির হয়৷

https://p.dw.com/p/NLMb
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণাছবি: AP

২৬-১১এর দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে আবার শুরু হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া আগামী ১৫ই জুলাই ইসলামাবাদে৷ যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে কথা হবে৷ মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি টেলিফোন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণাকে৷ পরে কৃষ্ণা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারত-পাকিস্তান শান্তি বৈঠকে যোগ দিতে তিনি উদগ্রীব৷ আশা ঐ বৈঠক দুদেশকে আরো কাছাকাছি আনতে সাহায্য করবে৷ পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে সব বকেয়া ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে৷

২৬-১১এর পর পাকিস্তান সন্ত্রাসী পরিকাঠামো ধ্বংস না করলে শান্তি আলোচনা হতে পারেনা বলে ভারত এ পর্যন্ত যে কঠোর মনোভাব নিয়েছিল, তাতে কী এমন ঘটলো যে ভারত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল - এই প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, মুম্বই সন্ত্রাসী কান্ডের পর ভারতের জনরোষের দিকে তাকিয়ে সরকারের এই মনোভাব নেওয়া ছাড়া পথ ছিলনা৷ এখন ভারত তার অনমনীয়তা পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে৷ ওবামা প্রশাসন চাইছে ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই বন্ধু হিসেবে পেতে৷ তবে আলোচনা হবে আলোচনার জন্যই৷ ফলপ্রসূ না হবার সম্ভাবনাই বেশি৷ কারণ তাঁর মতে, পাকিস্তান আর্মি ও আই এস আই-এর ওপর পাকিস্তান সরকারের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেই৷ মার্কিন সরকারও তা জানে বলে তিনি মনে করেন৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ২৯শে জুন ইসলামাবাদ যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম সার্ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে৷ সেখানে পার্শ্ববৈঠকে তিনি কথা বলবেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে৷ কয়েকদিন পর ইসলামাবাদে সার্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক৷ সেখানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচি স্থির করবেন৷

উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় সার্ক সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হয়ে আস্থার ঘাটতি পূরণের পন্থাপদ্ধতি নিয়ে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবদের যত শীঘ্র সম্ভব আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক