1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বিমান পরিবহন ও এইডস রোগীদের সমস্যা

৩০ মে ২০১০

ভারতে বিমান পরিকাঠামোর অবস্থা, সমাজে এইডস রোগীদের প্রতি অবিচার এবং পাকিস্তানে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম – জার্মান পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো৷

https://p.dw.com/p/Nd5s
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির লাশ নামানো হচ্ছেছবি: AP

ভারতের ম্যাঙ্গালোরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে সেদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্র সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ‘ডেয়ার টাগেসস্পিগেল' সংবাদপত্র৷ ভারতে একদিকে বিমান পরিবহন বিশাল মাত্রায় বেড়ে চলেছে৷ ভারতীয়দের আর্থিক সামর্থ্য বেড়ে চলায় তারা আরও ঘনঘন বিমানে চড়ছেন৷ ম্যাঙ্গালোরের দুর্ঘটনার জন্য মৃত পাইলটকে দায়ী করা হচ্ছে বটে, কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান যথেষ্ট উন্নত নয়৷ পাইলটদের সংগঠনও এমনটাই মনে করে৷ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আর ওয়াদিয়া'কে উদ্ধৃত করে ‘টাগেসস্পিগেল' লিখেছে, গত কয়েক বছরেও কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, অনেক দুর্ঘটনা একেবারে শেষ মুহূর্তে এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা ভারতেই ঘটে৷ তা সত্ত্বেও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজও কোনো নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ নেই বলে ওয়াদিয়া অভিযোগ করেছেন৷ চরম প্রতিযোগিতার এই বাজারে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে বিমান সংস্থাগুলি৷ একদিকে তাদের টিকিটের মূল্য কম রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যয়-সঙ্কোচও করতে হচ্ছে৷

মরণব্যাধী এইডস ভারতের সমাজে কী ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করেছে, তার একটা খণ্ডচিত্র তুলে ধরেছে ‘নয়ে স্যুরশার সাইটুং'৷ ঐ সংবাদপত্রের মতে, ভারত সরকার এইডস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার কর্মসূচির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করলেও সমাজে এইচআইভি ভাইরাস বহনকারীদের অচ্ছুৎ করে রাখা হয়৷ জাতিসংঘের অনুমান, ভারতে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ মানুষ এইচআইভি বহন করছে৷ সমাজে একঘরে হয়ে পড়ার ভয়ে অনেক রোগী জেনেশুনে নিজেদের রোগ গোপন করে থাকে৷ এমনকি সন্দেহ দেখা দিলেও অনেকে রক্ত পরীক্ষা করাতে ভয় পান, পাছে তাদের নিজেদেরই এই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি না হতে হয়৷ যাদের চিকিৎসা চলছে, তারা আপাতত ভালো থাকলেও একটা সময়ের পর প্রচলিত ওষুধে আর কাজ হবে না৷ তখন নতুন প্রজন্মের ওষুধের প্রয়োজন হয়ে পড়বে, যার ফলে গোটা কর্মসূচির ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে৷

প্রায় ৩ বছর আগে ইসলামাবাদের লাল মসজিদ রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল৷ আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ সামরিক সরকারের জায়গায় গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে৷ ‘ভেল্ট আম সনটাগ' সংবাদপত্রের প্রতিনিধি লাল মসজিদ পরিদর্শন করে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন৷ অতীতে বিভিন্ন স্তরে উগ্রবাদী ও কট্টরপন্থীদের সঙ্গে মাখামাখি করলেও বর্তমানে পাকিস্তানে তাদের বিরুদ্ধে সত্যি জোরালো প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে বলে মনে করে ‘ভেল্ট আম সনটাগ'৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ