ভারতে প্যাঁচা কমে যাবার জন্যে দায়ী হ্যারি পটার
৩ নভেম্বর ২০১০বুধবার ভারতের গণমাধ্যমগুলোর বিভিন্ন প্রতিবেদন পরিবেশ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এই খবর পরিবেশন করেছে৷ জয়রাম রমেশ বলেন, হ্যারি পটার সিনেমা দেখে এবং বই পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতের বিত্তশালী পরিবারগুলোর মধ্যে তাদের সন্তানদের হাতে প্যাঁচা তুলে দেওয়ার এক ‘অদ্ভুত প্রবণতা' লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ হ্যারি পটারের সঙ্গী হেডউইগ তো একটা প্যাঁচা বই নয়৷
মঙ্গলবার দেশের প্যাঁচাকুল নিয়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেন পরিবেশ মন্ত্রী৷ সেখানে দেখা গেছে, অবৈধ পাখি ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে লোকজনের প্যাঁচা কেনার চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে৷ সমীক্ষক আবরার আহমেদ বলেছেন, তাঁর একজন বন্ধুর স্ত্রী, নিজের ছেলের জন্যে হ্যারি পটার স্টাইলের জন্মদিনের পার্টি করতে চেয়ে একটি সাদা প্যাঁচা খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি প্যাঁচার ব্যবসা নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন৷ আবরার আহমেদ ঐ প্রতিবেদনে বলেন, এইরকম একটি অদ্ভুত চাহিদাই সম্ভবত তাঁকে পক্ষীবিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে সহায়তা করে৷
ঐ সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, ভারতে ৩০ প্রজাতির প্যাঁচার প্রায় অর্ধেক ধরে ফেলা হচ্ছে এবং জীবিত অবস্থায় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে দেওয়ালির সময়ে পাখি ব্যবসার ওপর কঠোরভাবে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে ৷ বলা হয়েছে, দেওয়ালির সময় প্যাঁচার বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়৷ কেননা এরকম এক ধারণা সাধারণ্যে চালু আছে যে, লক্ষ্মীপ্যাঁচা দর্শন দিলে তা বয়ে আনে বিত্ত আর সম্পদ৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক