1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে জনগণনায় জাতের উল্লেখ থাকবে – মেনে নিল সরকার

৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি মেনে নিয়ে অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা চলতি জনগণনায় জাত সংক্রান্ত বিতর্কিত তথ্য রাখার সিদ্ধান্ত নেন৷

https://p.dw.com/p/P7t2
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল জনগণনার সূচনা করেনছবি: AP

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম বলেন, জনগণনার কাজ শেষ হলে আগামী বছরের জুন মাস থেকে পৃথকভাবে এই কাজ শুরু হবে৷

ভারতে জাত-তথ্যের মত রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ইস্যুটি জনগণনার অন্তর্ভুক্ত করতে শেষ পর্যন্ত সরকারকে সম্মতি দিতে হলো৷ আজ সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম৷ চলতি জনগণনার পাশাপাশি ২০১১ সালের জুন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৃথকভাবে জাত-তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে৷ শেষ হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে৷ জাত-তথ্য না জানাবার অধিকার থাকবে উত্তরদাতার৷ বায়োমেট্রিক তথ্যের কাজও চলবে, যার মধ্যে থাকবে ফটো, আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি৷ এর ভিত্তিতে তৈরি হবে জাতীয় পরিচয়পত্র৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাত-তথ্য সংগ্রহের পর সেটার একটা আইনি রূপ দেয়া হবে৷ জাতি/উপজাতি শ্রেণীভাগের জন্য গঠিত হবে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি৷

Auftakt der Volkszählung in Indien
জাতপাত সংক্রান্ত বিভেদ এখনো দূর হয় নিছবি: AP

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় এই ইস্যু নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে, কিন্তু মতভেদ যেমন ছিল সরকারের মধ্যে, তেমনি ছিল বিজেপি এবং বামদলগুলির মধ্যে৷ সঙ্ঘ পরিবারের স্তম্ভ আর এস এসের মতে, এতে হিন্দু সমাজ বিভক্ত হবে৷ বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য গঠিত হয় বিশেষ মন্ত্রীগোষ্ঠি৷ শেষপর্যন্ত সব দলই জাত-তথ্য রাখার সপক্ষে রায় দেয়৷

স্বাধীনতার পর ভারতে জাত-তথ্য নেয়া হয়নি৷ শেষবার নেয়া হয় ১৯৩১ সালে৷ ভারতে জাতপাতের বৈষম্য অবৈধ হলেও হিন্দু সমাজ ব্যবস্থায় এর প্রভাব অব্যাহত৷ জাত-তথ্য সংগ্রহকারীদের আশঙ্কা, যাঁরা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত তাঁদের উত্তর যাচাই করার কোন সুযোগ নেই, যেহেতু তাঁদের কাছে প্রমাণপত্র থাকবেনা৷ যেটা থাকে তপসিলী জাতি/উপজাতিভুক্তদের কাছে৷ ফলে, জাত নিয়ে জালিয়াতির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে৷

ভারতের ১২০ কোটি লোকের গণনা কাজে নিযুক্ত ২৫ লাখ কর্মী৷ পুরো প্রক্রিয়ার খরচ ৪ হাজার কোটি টাকা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন