1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দূষিত রক্ত’

২ আগস্ট ২০১৩

ডাক্তারের জন্য মাসের পর অপেক্ষায় থাকতে হয় না৷ চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হয় না কাউকে৷ তাঁদের জন্য রয়েছে খুব কম খরচে রোগ থেকে মুক্তি পাবার উপায়৷ শরীরের সব ‘ভেজাল রক্ত’ বের করে দেয়া হয় আর তাতেই নাকি সেরে যায় সব অসুখ৷

https://p.dw.com/p/19IRy
epa02995175 Indian Muslims perform Eid al-Adha prayer in the 17th century Jama Masjid mosque in New Delhi, India on 07 November 2011. Muslims around the world celebrate the Eid al-Adha feast by slaughtering goats and sheep in commemoration of the Prophet Abraham's readiness to sacrifice his son to show obedience to God. EPA/STR +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ পুরোনো দিল্লির জামে মসজিদ৷ সেখানে খুব বড় এক কাজে ব্যস্ত মোহাম্মদ গিয়াস৷ লীলাবতি প্রখর রোদের মধ্যে টানা ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ তিন সন্তানের জননীকে আর্থরাইটিস থেকে মুক্তি দেয়ার চিকিৎসার মূল পর্ব এখন শুরু করতে হবে৷ ৮২ বছর বয়সি মোহাম্মদ গিয়াসের এক সহকারী এসে হাত দুটো আর পা দুটো আলাদা আলাদাভাবে বেঁধে দিলেন৷ তারপর গিয়াস শুরু করলেন ব্লেড দিয়ে চামড়া কেটে লীলাবতির দেহ থেকে ‘দূষিত' বা ‘ভেজাল' রক্ত বের করা৷ মোহাম্মদ গিয়াসের মতো ভারতের অনেক চিকিৎসক এবং লীলাবতির মতো অনেক রোগীর এমন চিকিৎসার প্রতি অগাধ আস্থা৷ মোহাম্মদ গিয়াসের দাবি, ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানেন এভাবে প্যারালাইসিস থেকে ডায়াবেটিস, এমনকি সার্ভিক্যাল ক্যানসার থেকেও রোগীকে মুক্ত করা সম্ভব৷ তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে লীলাবতির, তাই জানালেন, ‘‘বিজ্ঞান এবং আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্র ব্যর্থ হয়েছে '', সে কারণেই মোহাম্মদ গিয়াসের কাছে এসেছেন তিনি৷

ভারতে চামড়া কেটে দূষিত রক্ত বের করে মানুষকে সুস্থ করার এ চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপক চল ছিল উনিশ শতকের শেষ দিক পর্যন্ত৷ তারপর থেকে আধুনিক চিকিৎসার প্রসার হয়েছে৷ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল হয়েছে৷ বিশ্বখ্যাত অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন সেখানে৷ তাই বাংলাদেশসহ আরো কিছু দেশ থেকে অজস্র মানুষ চিকিৎসা করাতে যান ভারতে৷ কিন্তু তারপরও ভারতের দরিদ্র মানুষ এখনো ভালো ডাক্তারের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষায় না থেকে, বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে চলে যান মোহাম্মদ গিয়াসদের মতো চিকিৎসকদের কাছে৷ আধুনিক এবং স্বচ্ছল মানুষ এমন চিকিৎসকদের মনে করেন ‘হাতুড়ে ডাক্তার'৷ তাই বলে মোহাম্মদ গিয়াসের চেম্বারের সামনে ৪০ রূপি খরচ করে চিকিৎসা করাতে সক্ষম মানুষদের ভিড় কখনো কমে না৷

অনেকে উপকারও পান৷ জয়ন্ত কুমার তো একরকম নতুন জীবনই পেয়েছেন মোহাম্মদ গিয়াসের চিকিৎসায়৷ ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছিল তাঁকে৷ তবে এখন যে খুব ভালো আছেন সেটা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার, ৪২ বছর বয়সি জয়ন্ত বললেন, ‘‘এক সময় আমি বসতে বা দাঁড়াতে পারতাম না৷ এখন কারো সাহায্য ছাড়া হাঁটতেও পারি৷''

এসিবি / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য