1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত প্রায় আড়াই লাখ

১৩ জানুয়ারি ২০২২

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হলো। দুই লাখ ৪৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত।

https://p.dw.com/p/45SNr
গঙ্গাসাগরে যেতে চাওয়া এক সাধুর করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

কমা দূরস্থান, ভারতে করোনা আবার ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। দিল্লিতে ২৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। দিল্লির লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, গাজিয়াবাদে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে।

ভারতজুড়ে ছবিটা কমবেশি একই। করোনার বাড়বাড়ন্তের ছবি। প্রতিটি রাজ্যেই কড়াকড়ি চালু হয়েছে। প্রায় সব বড় শহরেই রাতের কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কড়াকড়ি আগের মতোই বহাল থাকবে। পুনেতে আবার করোনা শিবির খোলা হয়েছে। মুম্বইতে যারা হাসপাতালে ভর্তি, তাদের অধিকাংশই দুই ডোজ টিকা নেননি বলে সমীক্ষা জানাচ্ছে।

রাজধানীর ছবি

দিল্লিতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া সব বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। সপ্তাহান্তের কার্ফিউ বহাল আছে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না কমা পর্যন্ত কড়াকড়ি বহাল থাকবে। দিল্লির রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ কম। মানুষজনও কম বেরোচ্ছেন। রাস্তায় হোম ডেলিভারির সঙ্গে যুক্তদেরই বেশি দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, রেস্তোরাঁতে হোম ডেলিভারি ছাড়া বসে খাওয়া বন্ধ, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্পা, সুইমিং পুল, জিম। বিয়েতে ২০ জনের বেশি আমন্ত্রিত থাকতে পারবেন না। সপ্তাহান্তের কার্ফিউও থাকছে।

মমতার আবেদন

কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গেও করোনা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। এরমধ্যেই শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, সাধু-সহ তীর্থযাত্রীদের কাছে সাবধানতা অবলম্বনের আবেদন করেছেন। জানিয়েছেন, করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। মমতা বলেছেন, ''আমার যা করার তা আমি করব। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আমার হাতে নেই।'' 

রেলেও নতুন নির্দেশিকা

করোনা বাড়তে থাকায় নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রেলমন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, মাস্ক ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হবে না। যাত্রীদের বারবার হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।  রেলের সব কর্মীকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। করোনা রোগীর জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থাও স্টেশনে থাকবে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)