ভারতে আবার পাট রপ্তানি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৩১ মার্চ ২০১০গত বছর, ভারত সহ অন্যান্য দেশে কাঁচা পাট রপ্তানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ৷ এই নিষেধাজ্ঞার বড় কারণ ছিল, দেশের নিজস্ব পাটশিল্পের কারখানাগুলোতে তাদের উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পাট যেন সহজেই পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করা৷ কারণ পাট রপ্তানি করার ফলে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর জন্য যে পরিমাণ পাট প্রয়োজন তা লভ্য না হওয়ায় এর দাম বাজারে বাড়তে থাকে৷ আর তাই পাটজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাত্রা খুব দ্রুত কমতে থাকে৷
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষি জমি ব্যবহার করা হয় পাট ছাড়া অন্যান্য শস্য উৎপাদনের জন্য৷ তবে, এখন তার পরির্বতন ঘটবে৷ আমরা আরও ভালজাতের পাট উৎপাদন করবো৷ যদিও বর্তমানে বাংলাদেশ কোন দেশে কাঁচা পাট রপ্তানি করছে না৷ আমরা এখন রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছি৷''
তিনি আরও জানান, বর্তমানে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে৷ ঐ অবস্থার কারণে পাটশিল্পের বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ তবে এবার তা পুনরায় চালু হবে৷
বাংলাদেশ বিশ্বে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম৷ প্রতি বছর বাংলাদেশ ৫.৫ মিলিয়ন বেলস পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে থাকে৷ কাঁচা পাট আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান এবং চীন অন্যতম৷
প্রতিবেদন : আসফারা হক
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক