ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানার অতিথিরা
ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানা কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা৷ অবিভক্ত ভারতে ১৮৭৬ সালের ১ মে এর প্রতিষ্ঠা৷ প্রায় ৪৭ একর আয়তনে একশোর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে৷ এর মধ্যে কয়েকটি প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্তপ্রায়৷
পর্যটকের গন্তব্য
কলকাতার পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থান আলিপুর চিড়িয়াখানার৷ শীতের মরসুমে ভিড় উপচে পড়ে৷ গত বছরের ১ জানুয়ারি লক্ষাধিক মানুষ চিড়িয়াখানায় পা রেখেছিলেন, যা সর্বকালীন রেকর্ড৷ একটি বছরে মোট দর্শক সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি৷
চটপটে শিম্পাঞ্জি
চিড়িয়াখানা শিশুদের বিনোদন পাওয়ার জায়গা৷ তাদের আনন্দ দিতে খাঁচার মধ্যে হাজির শিম্পাঞ্জি৷ হাবভাব খানিক মানুষের মতো৷ তাই একে ঘিরে ভিড় থাকে বেশি৷
অলস দিন
পরিখা দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বরে কুমিরের বাস৷ চুপচাপ রোদ মেখে শুয়ে থাকে৷ একেবারে নিস্পন্দ৷ হাই তুললে মনে হয়, এই বুঝি ঘুম ভাঙল৷
রাজকীয় বনরাজ
বাংলা মানেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার৷ সাদা ও হলুদের মধ্যে ডোরাকাটা, দুই ধরনের বাঘ রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়৷ রয়েছে লেপার্ডও৷
কলকাতার অতিথি
ভারত-সহ উপমহাদেশে দেখা মেলে না, এমন প্রাণি ঘিরে কৌতূহল রয়েছে বেশ৷ যেমন কমন মারমোসেট৷ দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় মেলে৷ গ্রীষ্ণমণ্ডলের রেন ফরেস্ট থেকে এসে এরা এখন কলকাতার বাসিন্দা৷
ক্যাঙারুর লাফ
আরেক অতিথি ইস্টার্ন গ্রে ক্যাঙারুর আগমন অস্ট্রেলিয়া থেকে৷ সকাল থেকে চুপচাপ বসে থাকে৷ বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত চলে এদের লাফালাফি৷ এক লাফে পার করতে পারে ২৫ ফুট দূরত্ব৷
সরীসৃপের বাসা
কিংবদন্তি থেকে লোকাচার, সাপের বিশেষ স্থান বাংলার মাটিতে৷ চিড়িয়াখানায় কেউটে-দাঁড়াশ-চন্দ্রবোড়া থেকে বেহুলা-লখিন্দরে কাহিনির কালনাগিনীও হাজির৷
সর্পকুলের সম্রাট
ধারে-ভারে রাজাই বটে৷ ইন্ডিয়ান রক পাইথন উপমহাদেশের অরণ্যে দেখতে পাওয়া যায়৷ এই চেহারা নিয়ে সাঁতার কাটে, চড়তে পারে গাছেও৷