ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ৮.৮ শতাংশের মাত্রা ছুঁলো
৩১ আগস্ট ২০১০আশা করা হচ্ছে এই হার বজায় থাকবে পুরো বছর৷ তবে সতর্ক নজর রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতির দিকে যাতে সাধারণ মানুষ তার শিকার না হয়৷৷
বিশ্ব মন্দার চাপে অন্যান্য দেশ যখন কাহিল, তখন ২০১০-২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৮.৮ শতাংশে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং শিল্প ও বণিক সঙঘগুলির প্রতিনিধিরা বলেছেন, এটা ভারতের আর্থিক পুনরুদ্ধারের জোরালো সঙ্কেত৷ এশিয়ার তৃতীয় উদীয়মান আর্থিক শক্তি ভারত৷ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উৎপাদন ক্ষেত্রের ১২.৪ শতাংশ বিকাশের হার এই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মূলে৷ যদিও কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিকাশ হার ২.৮ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেশি৷ সরকারের আশা ছিল এটা হবে ৪ শতাংশের মত৷ অর্থনৈতিক মহল মনে করছেন, এবছর ভাল বৃষ্টি হওয়ায় কৃষি উৎপাদন বাড়ার জোর সম্ভাবনা৷
শিল্প ও বণিক সঙ্ঘ বলছে, বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারকে অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে৷ পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি রোধে সরকারকে রাখতে হবে কড়া নজর৷ ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি বলছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার৷ এবছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়েছে চার বার৷ দরকার হলে আরো বাড়ানো হবে৷
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার এই সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে ডয়েচে ভেলেকে বললেন, এর পেছনে শিল্প ও বণিক সঙ্ঘগুলির চাপ আছে সরকারের ওপর৷ সুদের হার বাড়লে বিনিয়োগের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনা৷ কর্পোরেট মুনাফা কমে যায়৷ এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতিটা অনেকটাই খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার কারণে৷ আর কৃষিকে অনেকদিন অবহেলা করার দরুন খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে৷ প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বগতিতে শিল্প ও বণিক সঙ্ঘ খুশি হবে কারণ, তাদের পণ্য বিক্রি হবে বেশি৷ এই প্রবৃদ্ধির অন্য একটা দিকও আছে৷ প্রবৃদ্ধির সুফল সমাজের নীচু তলা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না৷ উদ্বেগটা সেখানেই৷ তার মানে এই নয় যে প্রবৃদ্ধি অনাকাঙ্ক্ষিত৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন