ভাকেন ‘তীর্থে' বাংলাদেশের অদম্য ছেলেরা
৬ আগস্ট ২০১৯‘ট্রেনরেক'-এর পাঁচজন শিল্পী ভাকেন ওপেন এয়ারে অংশ নেন৷ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ‘ভারতীয় উপমহাদেশ' অঞ্চল তথা ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার ব্যান্ডের সঙ্গে জিতে ‘ধাতব যুদ্ধের' এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় ব্যান্ডটি৷
এই উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা টমাস জেনসেন ডয়েচে ভেলের রাইনার শিল্ডকে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিযোগিতাটিকে ‘অলিম্পিক গেমস অব মেটাল' বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, এখানে ‘ইউনাইটেড নেশনস অব মেটাল' মিলিত হয়েছিল৷ ২০০৪ সালে এই প্রতিযোগিতাটি শুরু করেছিলেন জেনসেন৷
আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডকে নিজেদের সক্ষমতা দেখাতে ৩০ মিনিট সময় পেয়েছিলেন ‘ট্রেনরেক'৷ শেষ পর্যন্ত তারা কোনোটিতেই জয়ী না হলেও বেশ আনন্দিত৷ ডয়েচে ভেলেকে এক সাক্ষাৎকারে এই ব্যান্ডের প্রধান আবির আহমেদ শুভ বলেন, ‘‘মেটালের তীর্থে পারফর্ম করার অনুমতি পাওয়া সবগুলো ব্যান্ডই প্রশংসার দাবিদার৷''
১৯৯০ সালে মাত্র ছয়টি ব্যান্ডের পারফর্ম্যান্স দেখতে এক হাজার ৮০০ জনেরও কম দর্শক ভাকেন ওপেন এয়ারে যোগ দিয়েছিলেন৷ এবার ৮০টি দেশের ৭৫ হাজার মেটাল ফ্যান নয়টি স্টেজে এই উৎসবে অংশ নেওয়া ২০০টি ব্যান্ডের পারফর্ম্যান্স দেখার সুযোগ পান৷
ডয়েচে ভেলে ২০১০ সাল থেকে এই ওপেন এয়ার আয়োজনে সহযোগিতা করে আসছে৷
তিন দিনব্যাপী ভাকেনের উৎসবের সময় দর্শনার্থীদের কারণে গ্রামটি জার্মানির শ্লেসভিগ-হলস্টাইেনর তৃতীয় বৃহত্তম গ্রামে পরিণত হয়৷ আয়োজকরা দর্শনার্থীদের তাঁবু, টয়লেট, ঝর্না, সাইনপোস্টসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সরবরাহ করেন৷
এবারের উৎসবটি ৩৩০টি ফুটবল মাঠের চেয়ে বড় এবং ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে যায়, মেটাল প্রেমীরা যাকে ‘পবিত্র ভূমি' বলে ডাকে৷ উৎসবের সময় ঘণ্টায় ১০ হাজার লিটার বিয়ার সরবরাহ করা হয়৷
১৯৯০ সালে ভাকেনের দুইজন মেটাল মিউজিশিয়ান পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের জনপ্রিয় সঙ্গীতগুলো নিয়ে গ্রামে উৎসবের আয়োজন করবেন৷ তখন থেকে এই উৎসব চলছে৷
রাইনার শিল্ড/এসআই