1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভক্তের উপহার আদালতে নিল নাওমি’কে

৫ আগস্ট ২০১০

১৩ বছর আগে নেওয়া একটি উপহার নিয়ে বিভ্রাটে পড়েছেন নাওমি ক্যাম্পবেল৷ এই জন্য আদালতে দাঁড়াতে হলো তাঁকে৷ কারণ, উপহারটি এসেছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলরের কাছ থেকে৷

https://p.dw.com/p/OcT7
মডেল তারকা নাওমি ক্যাম্পবেলছবি: AP

মডেল তারকা নাওমি ক্যাম্পবেলের ভক্ত তো বিশ্বজুড়েই৷ আর তাদের কাছ থেকে উপহার আসবে না, তা ভাবাটাই তো অস্বাভাবিক৷ তবে কে জানতো, এই উপহারই আদালত দেখিয়ে ছাড়বে এই সুপার মডেলকে৷ আর তাও একবারে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে৷

যে ভক্তের জন্য ফেঁসে গেলেন নাওমি, সেই টেইলর হত্যা, ধষর্ণের মতো যুদ্ধাপরাধের জন্য দি হেগে এখন বিচারের মুখোমুখি৷ প্রতিবেশী দেশ সিয়েরা লিয়নের হীরার খনির দিকে লোলুপ নজর ছিল তাঁর৷ অভিযোগ রয়েছে, সেখানে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর মূল হোতা টেইলরই৷ যাতে নিহত হয় এক লাখেরও বেশি মানুষ৷ আর সেই সময় এক পক্ষের জন্য অস্ত্র কিনতে হীরা বিক্রি করতেন তিনি৷ সেই হীরারই কিছু খণ্ড গেছে নাওমির কাছে৷ আর তাতেই এই বিপত্তি৷

বিচারকের আদেশ শিরোধার্য মেনে আজ বৃহস্পতিবারই আদালতে গেলেন নাওমি৷ জানালেন, কীভাবে পাথরগুলো তাঁর কাছে এসেছে৷ ঘটনাটি ১৩ বছর আগের৷ ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেলার দেওয়া এক ভোজসভায় নাওমির হাতে আসে এগুলো৷ অনেক রথী-মহারথীর সঙ্গে তিনিও ছিলেন সেখানে৷ নাওমি রাখঢাক না করেই স্বীকার করলেন পাথরগুলো পাওয়ার কথা৷ তবে এই ব্রিটিশ তারকা একইসঙ্গে বললেন, তিনি জানতেনই না কে তাকে এগুলো দিয়েছে, তবে ধারণা করেছিলেন৷ নাওমির কথায়, ‘‘নৈশভোজের পর আমি ছিলাম হোটেলে, নিজের কক্ষে৷ রাতে হঠাৎ দরজায় ঠকঠক৷ খুলে দেখি দুজন লোক৷ একটি কৌটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো, এটা আপনার জন্য৷ ক্লান্ত ছিলাম, তাই রাতে আর খুলে দেখতে ইচ্ছে হয়নি৷ সকালে খুলে দেখি কয়েকটি পাথর৷ ছোট, আর দেখতেও খুব একটা ভালো নয়৷'' ওই হোটেলেই ছিলেন হলিউড তারকা মিয়া ফারো৷ তাঁকে এবং নিজের এজেন্ট কার্লো হোয়াইটকে ঘটনাটি খুলে বলেন নাওমি৷ দুজনেই বলেন, সম্ভবত রিচার্ড টেইলর এগুলো পাঠিয়েছে৷ ‘‘আমার ধারণাও তাই ছিলো, বলেছিলাম তাদেরও'', বলেন নাওমি৷

Niederlande Kriegsverbrechertribunal Den Haag Naomi Campbell
আদালতে কোনো রাখঢাক না করেই পাথরগুলো পাওয়ার কথা স্বীকার করলেন নাওমিছবি: AP

টেইলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের জন্য নাওমিকে আদালতে তলবের আরজি জানান আইনজীবীরা৷ আর তাতে সাড়া দেন বিচারক৷ তবে সুপার মডেলের একটি আবেদন রেখেছে আদালত৷ সেজন্য আদালতে ঢোকার আর বের হওয়ার সময়টাতে তাঁর কোনো ছবি তোলা যায়নি৷

টেইলর অবশ্য হীরা বিক্রি করে অস্ত্র কেনার অভিযোগ নাকচ করে আসছেন৷ তাঁর আইনজীবীরা বলছেন, নাওমিকে হাজির করাটা একটা ভাঁওতাবাজি৷ একটা সামান্য বিষয়কে বড় করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ ৬২ বছর বয়সি টেইলরকে ২০০৬ সালে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এর পরের বছর থেকে শুরু হয় তাঁর বিচার৷

আদালত নাওমির পাশাপাশি এই বিষয়ে বক্তব্য শোনার জন্য এজেন্ট হোয়াইট ও অভিনেত্রী মিয়া ফারোকেও তলব করেছে৷ তাঁদের হাজির হতে হবে আগামী সোমবার৷ তবে নাওমি যেভাবে ভুগছেন, তাতে ভক্তদের কাছ থেকে উপহার নিতে এখন তারকারা অন্তত দুই বার ভাববেন৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ