বয়সের সঙ্গে বক্সিং!
দক্ষিণ আফ্রিকার কসমো শহরের ষাটোর্ধ্ব নারীরা বয়সজনিত রোগ ও হতাশা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বক্সিং করছেন৷ তাঁদের এই কাজ অন্যদের উৎসাহিত করছে৷
সুস্থ থাকতে
৭৭ বছর বয়সি গ্ল্যাডিস এনগেনিয়া প্রশিক্ষণ শুরুর আগে আদা চিবাচ্ছেন৷ নিয়মিত বক্সিংয়ের কারণে তিনি এখন আর আগের মতো বয়সজনিত রোগে ভুগছেন না বলে জানিয়েছেন৷ আরেক অংশগ্রহণকারী জানান, তাঁর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে৷
সপ্তাহে দুদিন
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কসমো এলাকার একটি জিম বয়স্কদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে৷ সপ্তাহে দুই দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
ষাটের বেশি
প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৬০ হলেও বেশিরভাগেরই বয়স ৭০-এর বেশি৷ তাঁরা এসেছেন কসমোর বিভিন্ন এলাকা থেকে৷ ছবিতে যেমন ৭৭ ও ৭৯ বছর বয়সি দুজনকে দেখা যাচ্ছে৷
ওয়ার্ম আপ
প্রশিক্ষণ শুরুর আগে শরীর গরম করে নিচ্ছেন দাদি-নানিরা৷
নিজেকে তরুণ মনে হয়
অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, বক্সিংয়ের কারণে নিজেদের এখন তরুণ মনে হয়৷ প্রশিক্ষণের সময় কোনো ব্যথা লাগে না৷ বরং ভালো একটা অনুভূতি হয়৷
ভুল ভাঙন
কোচ ক্লদে মাফোসা বলছেন, শুরুর দিকে মনে হয়েছিল, তাঁরা পারবেন তো? কারণ, এই বয়সের শরীর তো একটু ভঙ্গুর হওয়ার কথা৷ কিন্তু পরে দেখলাম তাঁদের পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেক বেশি৷
অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছেন
মাফোসা বলেন, এই প্রশিক্ষণ দেখে অন্য এলাকার বয়স্করাও উৎসাহিত হচ্ছেন৷ তাই সেই সব জায়গায়ও কোর্স শুরুর পরিকল্পনা করছেন তিনি৷