1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের উপরেও রাশিয়ার কালো ছায়া, বিপাকে জনসন

৬ নভেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট গণভোটের উপর রাশিয়ার প্রভাব সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ না করায় চাপের মুখে পড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ ভোটারদের কাছে ‘বিস্ফোরক' তথ্য গোপন রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ উঠছে৷

https://p.dw.com/p/3SWxL
লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Grant

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয় নি৷ একই বছর ব্রিটেনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটেও মস্কোর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ঠিক কতটা মদত দিয়েছে, সে বিষয়ে এক পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়েছে৷ মার্চ মাসেই সংসদের ইনটেলিজেন্স কমিটি সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে৷ অক্টোবর মাসের শুরুতেই ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও মন্ত্রিসভার দপ্তর সেটি প্রকাশ করার ছাড়পত্র দিলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নি৷ অথচ বোঝাপোড়া অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে জনসনের সাড়া দেবার কথা ছিল৷

এদিকে বুধবার সংসদের অধিবেশন শেষ হচ্ছে৷ তারপর ১২ই ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন৷ ফলে সংসদের পক্ষে আর সেই রিপোর্ট প্রকাশের জন্য চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না৷ বিরোধীদের অভিযোগ, রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিটপন্থিদের ভূমিকা সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো বিষয় থাকলেও ভোটাররা কিছু জানতে পারবেন না৷ তাদের মতে, সে কারণে জনসন ইচ্ছা করেই রিপোর্টটি আপাতত ধামাচাপা দিতে চান৷ বিরোধীরা তাই শেষ প্রহরে সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে৷

বুধবারই বরিস জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা করে তাঁর প্রচার অভিযান শুরু করছেন৷ সংসদ ভেঙে দিয়ে রানির সঙ্গে দেখা করে তিনি এই ঘোষণা করবেন৷ তারপর জনসন দলীয় প্রচার শুরু করবেন৷ ‘গেট ব্রেক্সিট ডান' অর্থাৎ ক্ষমতায় ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি আসরে নামছেন৷ ব্রেক্সিট নিয়ে রাজনীতিকদের দীর্ঘ টালবাহানার কারণে ক্লান্ত ভোটারদের সমর্থন চাইছেন তিনি৷ প্রথা ভেঙে ডিসেম্বর মাসে আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরতে চান জনসন৷

এদিকে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষেও ব্রেক্সিট আদৌ কার্যকর হবে কিনা, হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বোঝাপড়ায় আসতে কত সময় লাগবে, তা নিয়ে ব্রাসেলসে সংশয় বাড়ছে৷ ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে মঙ্গলবার বলেন, ব্রিটেনে নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা বেশ কঠিন হতে পারে৷ ব্রিটেন যাতে মুক্ত বাজের সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে ইইউ-র মানদণ্ড খর্ব না করে, সে দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন বার্নিয়ে৷ মোটকথা ইইউ বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউ মানদণ্ড মেনে চলতে হবে৷ তাছাড়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় বার বার বিলম্বের ফলে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ও কমে চলেছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)