ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন, উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্লেগ
১২ মে ২০১০অবশেষে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডেভিড ক্যামেরন৷ গত সপ্তাহের নির্বাচনে ক্যামেরন এর দল কনজারভেটিভ মানে রক্ষণশীলরা সর্বাধিক আসন জয় করে৷ কিন্তু একক সরকার গঠনে তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় জোট গড়তে হয় দলটিকে৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তাই ডেভিড ক্যামেরন বললেন, মহামান্য রানী আমাকে নতুন সরকার গঠনের আদেশ দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি৷ এই মুহূর্তে আমরা বেশ কিছু কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, বিশেষত ব্যাপক বাজেট ঘাটতি ছাড়াও রয়েছে গভীর সামাজিক সমস্যা৷ তার ওপরে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সংস্কারও জরুরী৷ এসব কারণে আমি কনজারভেটিভ এবং লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে জোট সরকার গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি৷
ক্যামেরনের এই ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও লেবার দলের শীর্ষ নেতা গর্ডন ব্রাউন৷ বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে দলটির অবস্থান ছিল দ্বিতীয়৷ এই পরাজয় অনেকটা প্রত্যাশিত হলেও লিবডেমদের সঙ্গে নিয়ে এবারও সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিল দলটি৷ কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি৷ আর তাই পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পদত্যাগই বেছে নেন ব্রাউন৷ তিনি বলেন, আমি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করছি, কেননা ভবিষ্যতে তিনিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নির্ধারণ করবেন৷ যারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই শুধু এই দায়িত্বের পূর্ণাঙ্গ গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেন এবং শুভকর্ম করার ব্যাপক ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারেন৷
এদিকে, রক্ষণশীল আর লিবডেমদের জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বেশ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই লিবডেম শীর্ষ নেতা নিক ক্লেগকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন ক্যামেরন৷ সেই সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী জর্জ অসবর্ন-এর নাম ঘোষণা করেছেন অর্থ মন্ত্রী হিসেবে৷ অন্যদিকে উইলিয়াম হেগ পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ৷
নব নিযুক্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এখন অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন৷ ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আগামী জুলাইতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আর তাঁকে যতশীঘ্র সম্ভব বার্লিন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্রান্স এবং ক্যানাডার সরকারপ্রধানরাও৷
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি ৩০৬টি আসনে জয়লাভ করে৷ অন্যদিকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সংগ্রহ ২৫৮ আসন৷ ৫৭টি আসন নিয়ে তৃতীয় স্থান লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী