ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন
১১ মে ২০১০এর আগে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চলছিল৷ প্রশ্ন ছিল, লিব ডেম'রা জোটসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেবে – রক্ষণশীল না লেবার?
যে কোনো সাধারণ নির্বাচনের পর জোট সরকার গড়তে রাজনৈতিক দলগুলি কিছুটা সময় নিয়ে থাকে, যাতে সরকার টেকসই হয়৷ কিন্তু ইউরোপের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সমস্যার মুখে ব্রিটেনে দ্রুত সরকার গড়ার জন্য চাপ বাড়ছিল৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবারই আগামী সরকারের রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা গিয়েছিল৷
রক্ষণশীল ও লেবার – দুই পক্ষই উদারপন্থী লিব ডেম'দের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে৷ সংখ্যার বিচারে একমাত্র রক্ষণশীল ও লিব ডেম'দের পক্ষেই এক স্থিতিশীল জোট সরকার গড়া সম্ভব, কারণ সংসদে লেবার ও লিব লিব ডেম'দের যৌথ আসনসংখ্যা সরকার গড়ার জন্য যথেষ্ট নয়৷ সেক্ষেত্রে তাদের এক বা একাধিক দলের সমর্থনের প্রয়োজন হবে৷ তা সত্ত্বেও লিব ডেম'রা দুই বড় দলের সঙ্গেই সমান্তরাল আলোচনা চালিয়ে যায়৷ এই প্রথম সরকারে সামিল হওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় নি লিব ডেম'রা৷ শুধু একবার নয়, ভবিষ্যতেও যাতে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে লিব ডেম'রা ব্রিটেনের নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এখনই সেরে ফেলতে চায়৷ রক্ষণশীল ও লেবার দলের মধ্যে যারা এই প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি নমনীয়তা দেখাতো, তাদের সঙ্গেই জোট বাঁধতে চেয়েছিল লিব ডেম'রা৷ এটা তাদের কাছে কার্যত অস্তিত্বের প্রশ্ন৷ সেইসঙ্গে যে বড় দল জোট সরকারের অভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে লিব ডেম'দের অন্যান্য দাবিগুলিকেও স্থান দিতে প্রস্তুত হবে, তাদের সঙ্গেই সরকার গড়তে চায় উদারপন্থীরা৷
লেবার দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিব ডেম'দের মন জয় করতে সোমবারই একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখেন৷ প্রথমত, তিনি প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা হিসেবে সরে যাবেন৷ নতুন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি কোনো প্রভাব খাটাবেন না৷ দ্বিতীয়ত, নির্বাচনী আইন সংস্কারের প্রশ্নেও লেবার লিব ডেম'দের দাবি অনেকটাই মেনে নেবে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম/সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক