1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে ভাঙনের অশনিসংকেত?

২৫ এপ্রিল ২০১৯

ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার মাঝে ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ছে৷ স্কটল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ এদিকে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত সংসদে উদ্যোগ নেওয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/3HNmo
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন বাড়ছে
ছবি: Reuters/R. Cheyne

২০১৪ সালে এক গণভোটে স্কটল্যান্ডের ভোটাররা সামান্য ব্যবধানে ব্রিটেনে থেকে যাবার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালে গণভোটে সেখানকার প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন৷ তবে ব্রিটেনের মানুষ সামগ্রিকভাবে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেওয়ায় স্কটল্যান্ডের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাবার সুযোগ পাচ্ছেন না৷ পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে তাঁরা স্বাধীনতা চান কিনা, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ স্কটল্যান্ডের সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থকরা ব্রেক্সিটের প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার ইঙ্গিত দিচ্ছেন৷

স্বাধীন স্কটল্যান্ডের প্রবক্তরা বৃহস্পতিবার থেকে তৃণমূল স্তরে নতুন এক আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন৷ ‘ভয়সেস ফর স্কটল্যান্ড' নামের ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগ এরই মধ্যে প্রায় এক লক্ষ সমর্থক আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ চাঁদা হিসেবে প্রায় এক লক্ষ পাউন্ড সংগ্রহ করেছে এই উদ্যোগ৷ যে সব ভোটার এখনো স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মনস্থির করতে পারছেন না, তাঁদের মন জয় করতে চায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷

এদিকে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার বা মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন ২০২১ সালের মে মাসের আগেই স্বাধীনতার প্রশ্নে আবার গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতির ঘোষণা করেছেন৷ ব্রেক্সিটের কারণে লন্ডনের অনুমতি ছাড়াই এমন গণভোট সম্ভব বলে তিনি মনে করেন৷ উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের জাতীয় দলের নেতা হিসেবে তিনি সম্প্রতি চাপের মুখে পড়েছেন৷ বিশেষ করে স্কটল্যান্ডের অর্থনীতির স্বার্থে ইইউ-তে থেকে যাওয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ তাই তাঁর মতে, ভোটারদের ব্রেক্সিট ও স্বাধীন ইউরোপীয় রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো একটি বিকল্প বেছে নেবার সুযোগ পাওয়া উচিত৷ ২০২১ সালের ৫ই মে স্কটল্যান্ডের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবার আগেই গণভোটের আয়োজন করতে চান স্টার্জন৷ চলতি বছরের শেষের মধ্যেই তার প্রস্তুতির লক্ষ্যে আইন পেশ করার ঘোষণা করেন তিনি৷

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আপাতত পদত্যাগের ডাক থেকে রেহাই পাচ্ছেন৷ দলের শক্তিশালী ১৯২২ কমিটি তাঁর প্রস্থানের সময়সূচির দাবিতে সরব হলেও আপাতত তাঁকে গদি হারাতে হচ্ছে না৷

ফলে আগামী সপ্তাহেই ব্রিটিশ সংসদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আবার ব্রেক্সিট নিয়ে তৎপরতা শুরু করতে পারেন৷ সংসদে তিন বার ইইউ থেকে বিচ্ছেদের চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি সম্ভবত এক ব্রেক্সিট আইন পেশ করতে চলেছেন৷ ঠিক সময়ে এই আইন পাস হলে ব্রিটেনকে আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে হবে না৷ ডাব্লিইউএবি নামের এই আইন অনুমোদিত হলে ব্রেক্সিট সত্ত্বেও ব্রিটেন ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থায় থাকবে৷ এভাবে আচমকা ইইউ থেকে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দূর হবে৷ এই সময়কালে ইইউ-র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা স্থির করা যেতে পারে৷ সরকার এই উদ্যোগে ব্যর্থ হলে ব্রিটেন আগামী ১লা জুন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করতে বাধ্য হবে

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)