ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্বপুরুষ তিনি!
ছবিতে মমি করা যে শরীরটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের পূর্বপুরুষের, বলে দাবি গবেষকদের৷ ১৯৭৫ সালে এটি পাওয়া যায়৷
রহস্যময়
সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরের বারফ্যুসার চার্চ সংস্কারের সময় এই মৃতদেহটি পাওয়া যায়৷ চার্চের বেদির সামনে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল৷ দেহটি অভিজাত পোশাক পরানো অবস্থায় ছিল৷ তাছাড়া শরীর দেখে মনে করা হয়েছিল, এটি কোনো ধনী নারীর দেহ৷ তবে কোথাও কিছু না লেখা থাকায় ঐ নারীর পরিচয় এতদিন রহস্যে ঘেরা ছিল৷
সিফিলিস চিকিৎসা
মৃতদেহটি এতদিন ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকার কারণ শরীরে উচ্চমাত্রার পারদের উপস্থিতি৷ ১৫ থেকে ১৯ শতকের মধ্যে সিফিলিস চিকিৎসায় পারদের ব্যবহার থাকায় ঐ নারী এই রোগে আক্রান্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে অনেক সময় পারদ চিকিৎসা মানুষকে সুস্থ করার চেয়ে প্রাণ নিয়ে নিত৷
ডিএনএ পরীক্ষা
বাসেলের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি দেহটি শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চালায়৷ এর জন্য মমির পায়ের আঙুল থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ এতে জানা যায়, মৃতদেহটি আনা ক্যাথরিনা বিশফ নামের এক নারীর, যিনি ১৭৮৭ সালে মারা গিয়েছিলেন৷
অবাক করা ব্যাপার
গবেষকরা বলছেন, আনা ক্যাথরিনা বিশফ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের পূর্বপুরুষ ছিলেন৷ ঐতিহাসিক রেকর্ড বলছে, বিশফের কন্যা ক্রিস্টিয়ান হুবার্ট ব্যারন ফেফেলকে বিয়ে করেছিলেন৷ বরিস জনসন (যাঁর অফিসিয়াল নাম আলেকজান্ডার বরিস ডি ফিফেল জনসন) সেই পরিবারের সদস্য৷
প্রতিক্রিয়া
বরিস জনসনের বাবা লেখক স্ট্যানলি জনসন গবেষকদের এই আবিষ্কারে ‘খুবই রোমাঞ্চিত’ বলে জানিয়েছেন৷ আর বরিস জনসন টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি খুবই গর্বিত৷