1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলসে ‘নারী সনদ’ ঘোষণা

২৬ মার্চ ২০১০

মার্চ মাসেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেয়েদের জন্য বিশেষ একটি চার্টার বা সনদ ঘোষণা করেছেন৷ সনদে ঘরে-বাইরে নারীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/MbIh
নারী সনদ কার্যকর করতে চান হোসে মানুয়েল বারোসোছবি: AP

এই নারী সনদ শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বে নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মানুয়েল বারোসো ইউরোপীয় কমিশনে নারীর অধিকারকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সংস্থায় শীর্ষ স্থানে মহিলাদের অধিষ্ঠিত করার ওপর জোর দেন তিনি৷ বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ জন কমিশনারের মধ্যে মাত্র ৯ জন মহিলা কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন৷

ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিভিয়ান রেডিং-এর সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বারোসো জানান, ‘‘সনদের কার্যকাল আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত৷ এই সময়ের মধ্যে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতিকে মূল লক্ষ্য হিসেবে স্থির করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই অগ্রগতি শুধু ইউরোপে নয়, ইউরোপের বাইরেও ছড়িয়ে দেয়া হবে৷''

EU Kommissarin Viviane Reding
মাত্র ৭ জন নারী কমিশনারের মধ্যে ভিভিয়ান রেডিং একজনছবি: AP

ভিভিয়ান রেডিং সাংবাদিকদের জানান, ‘‘নারীর অধিকার এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে বিশেষ এই সনদ আপনাদের সামনে উপস্থিত করছে একজন পুরুষ এবং একজন নারী৷ এ কথা সত্যি যে, নারী অধিকার নিশ্চিত করতে পুরুষের সহযোগিতা এবং সমর্থন কাম্য, প্রয়োজনীয়৷'' ভিভিয়ান রেডিং ইউরোপীয় কমিশনের নীতি এবং মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করেন৷

সনদ প্রসঙ্গে বারোসো আরো বলেন, ‘‘ এই সনদের মূল লক্ষ্য হল নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা৷ একই কাজের জন্য নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক একই হবে - তা নিশ্চিত করা৷ যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ স্থানে একজন পুরুষের পাশাপাশি যেন একজন মহিলাও থাকতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া৷ কর্মস্থলে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা৷ শুধু ইউরোপ নয় ইউরোপের বাইরের দেশগুলোকেও এসব করতে উদ্বুদ্ধ করা৷ ''

ভিভিয়ান রেডিং জানান, আগামী পাঁচ বছর এই সনদের মূল বিষয়বস্তুর আইনগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবে ইউরোপীয় কমিশন৷

প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদক: আবদুল্লাহ আল-ফারূক