ব্রাসেলসে ইউরো অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক
১৮ মে ২০১০১৬টি ইউরো দেশের অর্থমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে একত্রিত হয়ে সোমবার ইউরোপীয় ঋণসঙ্কট সম্পর্কে আলোচনা করেছেন৷ উত্তরোত্তর পদক্ষেপের মাধ্যমে তাঁরা আন্তর্জাতিক অর্থবাজারগুলির আস্থা ফিরে পেতে চান৷
ইউরোর বিনিময় মূল্যের পতন ঠেকাতে ইউরো অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা সোমবার বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন৷ ব্রাসেলসে কথার মারপ্যাঁচের রীতিমত যুদ্ধ চলেছে বলা যায়৷ গ্রীসকে ঋণ সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্যে জার্মানির উদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে চলেছে কটাক্ষ৷ ইউরো গত চার বছরের মধ্যে তার নিম্নতম বিনিময় মূল্যে পৌঁছেছে৷
অর্থ মন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন, বাজেট ঘাটতি কমানোর জন্য একটি কঠিনতর ব্যয়হ্রাস কর্মসূচি প্রয়োগের ব্যাপারে৷ এছাড়া তথাকথিত ইউরোপীয় স্থায়িত্ব চুক্তির বাজেট ঘাটতি নিয়মাবলী ভঙ্গের ক্ষেত্রে আরো কড়া শাস্তিদানেরও দাবি উঠেছে৷ জার্মান অর্থমন্ত্রী ভোলফগাং শয়েবলে বলেছেন: ‘‘আমাদের বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে৷ ইউরোপীয় স্থায়িত্ব এবং প্রবৃদ্ধি চুক্তিকে আরো জোরদার করতে হবে৷ প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলিকে কিভাবে জোরদার করা যায়, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা করতে হবে৷ কিন্তু যে বাজেট ঘাটতি থেকে এই সঙ্কটের সূচনা, তা কমানোটাই হল আসল কাজ৷ এটা প্রতিটি দেশকে এককভাবে এবং আমাদের সামগ্রিকভাবে করতে হবে৷''
এদিকে গ্রীসের ঋণ সঙ্কট এবং জার্মানির প্রচেষ্টা নিয়ে সোমবার কটাক্ষ শুরুর আগেই, রবিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ইউরোভুক্ত দেশগুলো নিজেদেরকে ঘাটতি থেকে দূরে রাখতে, গত সপ্তাহান্তে ৭৫০ বিলিয়ন ইউরোর এই উদ্ধার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে৷ যা সময় পাওয়ার পন্থা ছাড়া আর কিছুই নয়৷
লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোগ্রুপের প্রেসিডেন্ট জাঁ ক্লদ ইউঙ্কার ম্যার্কেলের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে বলেছেন, কেউ কেউ কথা বলার আগে চিন্তা করে নিলেই ভালো করবেন৷ অর্থ মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ব্রাসেলস-এ সাংবাদিকদের সামনে ইউঙ্কার বলেন, এই সব লোকজন নিজেদের মুখ বন্ধ রাখলেই ভালো করবেন৷ ম্যার্কেলের মন্তব্য ইউরোজোনের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷
সোমবার ব্রাসেলস-এ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক চলাকালীনই খবর আসে যে, ইউরো গত চার বছরের মধ্যে তার নিম্নতম বিনিময় মূল্যে পৌঁছেছে৷ আজ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে মিলিত হবেন এবং বিশেষ করে তথাকথিত ‘হেজ ফান্ড'-গুলির জন্য কঠিনতর নিয়মাবলীর ব্যাপারে আলোচনা করবেন৷
প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: অরুন শঙ্কর চৌধুরী