ব্রাজিল হল্যান্ড ম্যাচকে ঘিরে ফুটছেন সমর্থকরা
১ জুলাই ২০১০বিশ্বকাপ ফুটবলের টপ ফেভারিট দল ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে নামছে আগামীকাল শুক্রবার৷ তাদের মুখোমুখি হল্যান্ড৷ পোর্ট এলিজাবেথে নেলসন ম্যান্ডেলা বে স্টেডিয়ামে হবে এই খেলা৷ এই নিয়ে চারবারের মত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে এই দুই হাই ভোল্টেজ দল একে অপরের মুখোমুখি৷ আর তাই এই ম্যাচকে সামনে রেখে জমজমাট এক লড়াইয়ের আশা করছে পুরো ফুটবল বিশ্ব৷ উত্তেজিত সমর্থকরা৷
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র আসরে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের ৩-২ গোলে পরাজিত করে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করেছিল৷ চার বছর পরে ফ্রান্সেও এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়৷ কিন্তু সেবার সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পরে টাইব্রেকারে ডুঙ্গার দল ৪-২ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয়৷ এই দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৭৪ সালে৷ দ্বিতীয় রাউন্ডের ঐ ম্যাচটিতে একমাত্র ইউরোপীয় দলটি ২-০ গোলে জয়ী হয়েছিল৷
কিন্তু হল্যান্ড কি বিরক্তিকর ফুটবল খেলছে? এই প্রশ্নকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন ডাচ দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রায়ান বাবেল৷ তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপে জয় তুলে নেওয়া কার্যকর ফুটবলই খেলছে ডাচ দল৷ তবে তিনি মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপে এখনো সেরা খেলাটি খেলেনি হল্যান্ড দল৷ ব্রাজিলের বিপক্ষেই নাকি হবে সেই খেলা৷
ব্রাজিলের কোচ দুঙ্গা কিন্তু ছোট করে দেখছেন না হল্যান্ড কে৷ তিনি বললেন, 'রবেন-পার্সি-স্নাইডার সমৃদ্ধ হল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী দল৷ ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলির মতো স্কিলফুল ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে থাকে হল্যান্ড৷ এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে কোয়ার্টার-ফাইনালে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি আমাদের হতে হবে৷ ডাচ দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার রয়েছে যারা ব্যক্তিগত দক্ষতায় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে৷ তবে আমরাও তৈরি৷'
এদিকে, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে উত্তেজনাকর ম্যাচে টাইব্রেকারে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া জাপানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওটো কান৷
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ব্লু সামুরাইদের অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের পর প্রধানমন্ত্রী পুরো দলকে অভিনন্দন জানান৷ তিনি বলেন, "একটি দল হিসেবে খেলে পুরো বিশ্বের সামনে জাপানি ফুটবলের শক্তিকে এই দলটা তুলে ধরেছে৷"
শেষ ১৬'র সমানে সমান লড়াইয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এশিয়ার শেষ ভরসা হিসেবে জাপান দারুণ এক সাহসিকতার পরিচয় দেয়৷ নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূণ্য ড্র থাকার পর শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে ৫-৩ গোলে পরাজিত হয়ে এবারের মত বিদায় নেয় চেরি ফুলের দেশ৷ ২০০২ সালের পরে এই প্রথম জাপান নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়