1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা? ম্যারাডোনা না পেলে?

২৭ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে ফুটবল সমর্থকদের এই দুই শিবিরে বিভাজন প্রসঙ্গটি ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর এবারের পর্বে আলোচিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3lw3q
Khaled Muhiuddin Asks 040
ছবি: DW

এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ম্যারাডোনারসাক্ষাৎকার নেয়া ক্রীড়া সাংবাদিক দিলু খন্দকার ও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম৷ এবারের আলোচনার প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে কে বেশি জনপ্রিয়? পেলে, নাকি ম্যারাডোনা? ম্যারাডোনাই কি সর্বকালের সেরা?

এপ্রশ্নের উত্তরে শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘‘পেলে অবশ্যই সর্বজনশ্রদ্ধেয় একজন ফুটবলার৷ উনার জায়গায় ওনাকে স্যালুট৷ কিন্তু আশির দশকে ম্যারাডোনা যেভাবে নতুন করে ফুটবলের একটি ধারা সৃষ্টি করে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাঁকে সম্মান জানাতেই হবে৷ যে ক্রীড়াশৈলী তিনি শুরু করেন, তা একেবারে শিল্পীর তুলিতে তৈরি কোনো চিত্রের সমান৷''

ক্রীড়া সাংবাদিক দিলু খন্দকার এর জবাবে বলেন, ‘‘এই বিতর্কের কোনো শেষ নেই৷ এর উত্তর ম্যারাডোনা নিজে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন পেলে আমার সমকক্ষ হবেন সেদিন, যেদিন তিনি নাপোলির মতো ছোট ফুটবল ক্লাবে গিয়ে খেলে চ্যাম্পিয়ন হবেন৷ আমার মনে হয় আমিই সর্বসেরা৷ অনেকটা মোহাম্মদ আলির মতন৷ গ্যারি লিনেকার বলেছিলেন, সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা৷ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও তাই বলেছেন৷ আমিও দ্বিমত করিনা৷ আমার ভোট ম্যারাডোনার পক্ষেই৷''

এছাড়া কথায় কথায় ওঠে বাংলাদেশের সাধারণ জনতার মধ্যে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করার যে উন্মাদনা, তার প্রসঙ্গ৷ এর ভিত্তি আসলে কতটুকু, প্রশ্ন রাখেন সঞ্চালক৷

দিলু খন্দকার বলেন, ‘‘প্রতি বিশ্বকাপ আসলেই এই কথার উত্তর দিতে হয় আমায়৷ যে বিশ্বকাপ না খেলেও কেন এত উন্মাদনা আমাদের দেশে? ব্রাজিলের সাংবাদিকদের কাছে আমি এই মর্মে সাক্ষাৎকার দিয়েছি৷ ১৯৮৬ বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের সমর্থক দেশে বেশি ছিল৷ এই বিশ্বকাপ প্রথম টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়েছিল, তাও নতুন আসা রঙিন টিভিতে৷ ম্যারাডোনা-জাদু দেখার পর সবাই ভাবতে শুরু করেছিল যে মারাদোনা আসলে আমাদেরই লোক, আর্জেন্টিনা আমাদেরই দল৷ উচ্চতায় উঠেছিল আর্জেন্টিনা-ম্যারাডোনা প্রেম৷ আর কোনো খেলার ক্ষেত্রে মানুষ নিরপেক্ষ হতে পারেনা৷ একটা ম্যাচ দেখতে গিয়ে তা হতেই পারেনা৷ আপনাকে পক্ষ নিতেই হবে৷ দুটো বড় দলের লাইভ খেলা দেখলে এটা হবেই৷ এটাই খেলার ধর্ম৷''

বাংলাদেশের শীর্ষ স্ট্রাইকার আসলামও অনেকটা সহমত পোষণ করেন৷ যদিও তিনি এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচকভাবে দেখেন৷ তাঁর মত, ‘‘আমরা যারা খেলি বা খেলা দেখি, তারা জানি যে এই খেলাটা ‘গ্রেট এন্টারটেইনার'৷ এই যুদ্ধটা চিরাচরিতভাবে চলে এসেছে৷ বংশপরম্পরায় লোকে কোনো একটি দলকে সাপোর্ট করে আসে৷ এই যুদ্ধকে আমি ইতিবাচক মনে করি৷  এর থেকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে৷''

এবারের পর্বে আসলাম বলেন কীভাবে তিনি ম্যারাডোনার ক্রীড়াশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তা নিজের খেলায় প্রয়োগ করেছেন৷ দিলু খন্দকার দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের সময় ম্যারাডোনার সাথে তাঁর সাক্ষাতের স্মৃতি

এসএস/জেডএইচ