ব্রাজিলে ব্যাপক সহিংসতা
ব্রাজিলের ‘ব্ল্যাক কনশাসনেস ডে’ তে একটি সুপারমার্কেটে শ্বেতাঙ্গ নিরাপত্তারক্ষীর হাতে খুন হয়েছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ৷ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে৷
কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রেতে ক্যারেফোরের একটি গ্রোসারি শপে নিরাপত্তাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে এক কৃষ্ণাঙ্গকে৷
ভিডিওর দৃশ্য
দোকানের এক কর্মীর ফোনে করা ভিডিওতে দেখা যায়, সুপারমার্কেটের সামনে খোয়াও আলবের্তো সিলভেরিয়া ফ্রেইটাসকে শ্বেতাঙ্গ নিরাপত্তাকর্মী ধরে রেখেছিলো একজন৷ অন্য একজন অনবরত তার মুখে মারছিলো৷ অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক নিরাপত্তারক্ষী ফ্রেইটাসের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চাপ দিচ্ছে৷
দেশজুড়ে বিক্ষোভ
বিক্ষোভ দমনে রাস্তায় নামানো হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ৷ রাজধানী ব্রাসিলিয়া, রিও ডি জানেইরোসহ বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার
এই ঘটনার প্রতিবাদে পুরো ব্রাজিলের ক্যারেফোরের বিভিন্ন গ্রোসারি স্টোরে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে, ‘‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’’, ‘কেয়ারেফোর কিলার’৷ কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে৷
সহিংসতা
ক্যারেফোরের বিভিন্ন স্টোরের ভেতরে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিবাদকারীরা৷ কোথাও কোথাও আগুন দেয়া হয়েছে, কাচ ভাঙ্গা হয়েছে৷
জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার সাথে তুলনা
কয়েকজন বিক্ষোভকারী ফ্রেইটাসের মৃত্যুর ঘটনাকে অ্যামেরিকার জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর সাথে তুলনা করছেন৷ এ বছরের শুরুতে অ্যামেরিকায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের৷ এই হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হয়৷
ঘটনার সাথে জড়িতরা
যে দুই নিরাপত্তারক্ষী হত্যার সাথে জড়িত, তাদের মধ্যে একজন সাবেক সেনা সদস্য, যাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
‘কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস’
২০ নভেম্বর ব্রাজিলে পালিত হয় ‘কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস’৷ অথচ ১৯ তারিখ মধ্যরাতে ঘটল এই ঘটনা৷
ব্রাজিলে কৃষ্ণাঙ্গদের অবস্থা
ব্রাজিলের জনসংখ্যার ৫৭ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ এবং মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর৷ ব্রাজিলিয়ান ফোরাম অন পাবলিক সেফটির তথ্য অনুযায়ী, মোট সহিংসতার ৭৪ শতাংশ আর পুলিশের হাতে নিহত ৭৯ শতাংশই ঘটে এই কালো বা মিশ্র জনতার সঙ্গে৷
ক্যারেফোরের বক্তব্য
ব্রাজিলের ক্যারেফোর এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ যে ফার্ম থেকে তারা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি৷
বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা নয়
ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যাশিল্টন মোরাও এই ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করলেও এটাকে বর্ণবিদ্বেষী ঘটনা বলতে নারাজ৷ তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবিদ্বেষ আছে ব্রাজিলে নেই৷