ব্রাজিলের সামনে করোনা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার রয়েছে ব্রাজিলে৷ সেখানে মোট আক্রান্ত প্রায় ১৪ লাখ, মারা গেছেন ৫৮ হাজার ৩১৪ জন৷ এখন ব্রাজিলের আমাজন উপত্যকায় আদিবাসী জনতার মধ্যেও ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে৷

ব্রাজিলের ডানপন্থি রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারোর এই সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন দেশে-বিদেশে৷ রাষ্ট্রপতির সাথে মতানৈক্যের পরে এপ্রিল থেকে এখনও কোনো স্থায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রী নেই সেখানে৷ পাশাপাশি, বলসোনারো সামাজিক দূরত্ব না মেনে, দু’টি ম্যালেরিয়ার ওষুধ, ক্লোরোকুইন এবং হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনকে করোনার প্রতিষেধক হিসাবে প্রচার করে জনরোষের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি৷

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে ওঠা ব্রাজিলে মহামারী বিষয়ক বিশেষ সুরক্ষা নির্দেশিকা প্রকাশিত হলে তা সোমবার কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে৷ একাধিক শ্রমিক সংগঠনের মত, এই নিয়মাবলী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যকে পুরোপরি অগ্রাহ্য করে৷ ভুল পরামর্শ ও বিধিতে ভরা এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে ৩১টি শ্রমিক সংগঠন৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে সোমবার একটি বিবৃতিতে জানানো হয় যে ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, ‘‘প্রশ্নই ওঠেনা৷ ব্রাজিলের সামনে এখনও রয়েছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ৷’’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বর্তমানে আলোচনা করছে নির্দিষ্ট কিছু দেশের সাথে আন্তর্জাতিক বিমান সংযোগ ফিরিয়ে আনতে৷ কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সংক্রমণের হার বলছে,সেই দেশের তালিকায় হয়তো শেষ পর্যন্ত থাকবে না ব্রাজিল৷ একই ভাবে, চীন ব্রাজিলের সাথে বাণিজ্যিক দেওয়া-নেওয়া কমিয়ে নিজের দেশে সংক্রমণ আটকাতে চাইছে৷ সব মিলিয়ে, চাপের মুখে ব্রাজিল৷