ব্রাজিলের এক সংগীত স্কুলে পাইপের ‘ম্যাজিক’
ব্রাজিলের এক স্কুলে সংগীত শিখতে কোনো বেতন লাগে না৷ শিক্ষার্থীদের সুর সাধনায় সহায়তা করার অন্য উদ্যোগও রয়েছে সেখানে৷ শিক্ষার্থীদের হাতে সস্তায় বাদ্যযন্ত্র তুলে দিতে শুরু হয়েছে পিভিসি পাইপের ম্যাজিক! দেখুন ছবিঘরে...
বিনা বেতনের স্কুল
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের সান্তো আন্দ্রে শহরের এক স্কুলে সংগীত শেখানো হয় বিনা বেতনে৷ শুধু তাই নয়, কারো যাতে ঘরে সংগীত সাধনা চালিয়ে যেতেও কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার চেষ্টা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
বাদ্যযন্ত্র তৈরির উদ্যোগ
বাদ্যযন্ত্র ছাড়া সংগীত প্রায় অকল্পনীয়৷ কিন্তু গান এবং বাজনা বিনা বেতনে শেখালেও বাদ্যযন্ত্র কিনতে তো অর্থের প্রয়োজন৷ বাদ্যযন্ত্রের দামও অনেক৷ তাই সাও পাওলোর স্কুলটি শিক্ষার্থীদের জন্য পলিভিনাইল ক্লোরাইড (সংক্ষেপে পিভিসি) পাইপ দিয়ে তৈরি করছে বেহালা এবং সেলো৷
সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন কাজ
পিভিসি পাইপ দিয়ে বেহালা এবং সেলো বানানো মোটেই সহজ কোনো কাজ নয়৷ পাইপগুলো কেটে এবং গলিয়ে বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের আকারে এনে জোড়া দিয়ে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া পর্যন্ত মোট ৪২টি ধাপ পেরোতে হয়৷
তবুও তৃপ্তি
পিভিসি পাইপ দিয়ে বেহালা বানানো খুব কষ্টসাধ্য হলেও লোকোমোটিভা প্রোজেক্টের কর্মীরা এই কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থাকতে পেরে খুব আনন্দিত৷ কারণ, এমনিতে একটি উন্নত মানের বেহালার দাম ৮০০০ রেযাল, বা ১৫৪০ ডলারের মতো, পিভিসি পাইপ দিয়ে বানালে সেই বেহালার দামই নেমে আসে মাত্র ৩০০ রেয়ালে৷
দারুণ ম্যাজিক
স্কুলটিতে পিভিসি পাইপ দিয়ে বেহালা এবং সেলো বানানো শুরু হয় ২০১৮ সালে৷ এই উদ্যোগ শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাদ্যযন্ত্রের জন্য হাহাকার অনেক কমেছে৷ সস্তায় সুন্দর সুন্দর বেহালা এবং সেলো পেয়ে তারা খুব খুশি৷ স্কুলের অর্কেষ্ট্রার পরিচালক রোজারিও শুইন্ডট তাই বলছিলেন, ‘‘সামান্য এক পিভিসি পাইপ দিয়ে আমরা বেহালা বানাতে পারছি, সেই বেহালায় দারুণ সব সুর সৃষ্টি করতে পারছি৷ এটা যেন দারুণ এক ম্যাজিক!’’