1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাঙের সঙ্গে হাতির বন্ধুত্ব

২৪ অক্টোবর ২০১০

হাতির সঙ্গে ব্যাঙের বন্ধুত্ব কিন্তু প্রগাঢ়৷ অন্তত নতুন এক গবেষণায় এমনটাই মনে করা হচ্ছে৷ কেনই হবে না বলুন তো? এক প্রাণী হচ্ছে বিশালাকার, আর অপরটি ক্ষুদ্র৷ দুই ধরণের প্রাণীতে তো বন্ধুত্ব হতেই পারে৷

https://p.dw.com/p/PmOD
ছবি: dpa

বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, হাতি আসলে প্রকৃতির এক আশ্চর্য প্রকৌশলী৷ এই যে একের পর দলেবলে গিয়ে মনুষ্য বসতি ধংস করে, বড় বড় পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয় চাষাবাদের জমি, ফসল, গাছপালা- এই সবই নাকি তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর কলাকৌশল দেখাবার জন্যই৷

মার্কিন প্রাণী বিজ্ঞানীরা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, মানুষের দ্বারা প্রাকৃতিক পরিবর্তন রুদ্ধ করে দিতেই হাতি পাহাড় আর বন থেকে নিচে নেমে আসে৷ তাদের এই ধংসলীলায় মানুষের যতোই ক্ষতি হোক না কেন কিছু কিছু প্রাণীর জন্য কিন্তু তা বেশ উপকারী৷ এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ৷

Baumfrosch
ছবি: AP

গবেষণার জন্য নিয়মিত হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এমন তিনটি এলাকা বেছে নেন বিজ্ঞানীরা৷ সবকটিই আফ্রিকায়৷ তারা সেখানে দেখতে পান হাতির আক্রমণে কার্যতঃ ব্যাঙের বেশ লাভ হচ্ছে৷ ব্যাঙের বাসস্থানের যেমন ক্ষতি হচ্ছে না, সেখানে খাবারের যোগানও পাচ্ছে তারা আগের চেয়ে বেশি৷ তাদের গবেষণাস্থলে ছিল আঠারো জাতের প্রাণী৷ এর মধ্যে ১০টিই নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর আট প্রজাতির জন্য কোন সমস্যা না হলেও সবচেয়ে সুবিধাটি হয় ব্যাঙের জন্যই৷

‘হাতি খাদে পড়লে পিঁপড়েও লাথি মারে' বলে যে প্রবাদ চালু রয়েছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই পিঁপড়েবাও কিন্তু এর ফলে বেশ লাভবান হয়৷ বিজ্ঞানীরা হাতির আবাসস্থলে পরিবেশ বান্ধব নয় এমন গাছপালা লাগানোর পরিবর্তে বদলে চিরহরিৎ, বর্ধনশীল ঘাস ও বিভিন্ন ফলের গাছ লাগাতে পরামর্শ দিয়েছেন৷

তাছাড়া হাতির আবাসস্থলের বাইরে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন বনবস্তিগুলো, যেখানে বসবাস করে বনের জনমানুষ৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম