1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংককের জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে

২৩ মে ২০১০

থাইল্যান্ডে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে, কমেছে বিনিয়োগ, বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যও৷ তাই সোমবার থেকে আবারো সব কিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/NVFW
‘‘আগামীকাল থেকে জনগণ রাস্তায় নামলে এবং আর্থিক বাজার, বিদ্যালয় ও সরকারি অফিসগুলো খুললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে'' : প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভাছবি: picture-alliance/dpa

রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া সাপ্তাহিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভা জানান যে, ‘‘আগামীকাল থেকে জনগণ রাস্তায় নামলে এবং আর্থিক বাজার, বিদ্যালয় ও সরকারি অফিসগুলো খুললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে৷'' তাই রবিবার থেকেই সেখানে শুরু হয়ে গেছে নানা তৎপরতা৷ রাজধানী ব্যাংককের বাণিজ্যিক এলাকায় এদিন বেশ কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে নামে৷ চলে ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম৷

অবশ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাংককসহ ২৩টি প্রদেশে আরো দু'রাত সান্ধ্যআইন জারি থাকবে, জানান প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা৷ তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং তাদের ওপর সান্ধ্যআইনের প্রভাব সীমিত করার জন্য সোমবার থেকে সান্ধ্যআইন জারি করা হবে আট ঘন্টার বদলে মাত্র পাঁচ ঘন্টার জন্য৷

এদিকে, রবিবার ভোরেও ব্যাংককের উপকণ্ঠে একটি ব্যাংকে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে৷ তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি৷ রবিবার ব্যাংককের রাস্তা থেকে অধিকাংশ সেনাসদস্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশের কাছে সেনা তল্লাশি চৌকিগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে খবর৷ শুধু তাই নয়, এদিন উড়াল ট্রেন এবং পাতাল পথে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে থাই পুলিশ৷

No Flash Thailand Politik
আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসছে ব্যাংককের জনজীবনছবি: AP

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারবিরোধী লাল জামা আন্দোলনকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে, থাই রাজধানীর সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এই সহিংসতায় নিহত হয় কমপক্ষে ৫৪ জন৷ আহত হয় ৪০০'রও বেশি৷ এছাড়া, সংঘর্ষ চলাকালে ৪০টি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ ফলত, ক্ষতির মুখে পড়ে পর্যটন খাতও৷

ওদিকে, বিক্ষোভ দমনের পর এবার পুনর্গঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার৷ তবে রাজধানীকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে প্রচুর খরচ করতে হবে৷ কর্মকর্তারা বলেছেন, এজন্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১২০ কোটি ডলার৷ জানিয়েছেন থাই অর্থমন্ত্রী কর্ন চাতিকাভানজি৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম