1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বোর্নিও দ্বীপের লিলিপুট ব্যাঙের গপ্পো

২৮ আগস্ট ২০১০

কত দিকে যে বিজ্ঞানের দৃষ্টি প্রসারিত ভাবলেও অবাক লাগে৷ বিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসের সন্ধানী বিজ্ঞান এবার খুঁজে পেয়েছে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ৷

https://p.dw.com/p/OyV1
এই ব্যাঙটির চেয়েও ছোট নেফেনটিকোলাছবি: AP

এক্কেবারে ছোট্ট৷ যাকে বলে একটা মটরশুঁটির মত ছোট্ট৷ ইংরেজিতে যাকে বলা হয়ে থাকে পি-নাট৷ সেরকমই তার শরীরের মোট সাইজ৷ সে একটি ব্যাঙ৷ এই মুহূর্তে বেশ বিখ্যাত এবং অনেকটাই সেলেব্রিটি স্ট্যাটাস৷ তার ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হচ্ছে, টিভির পর্দায় তাকে দেখা যাচ্ছে৷ কারণ, তিনি হলেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ৷

নামটা একটু খটোমটো বটে৷ চট করে মনে রাখা সম্ভব নয়৷ নাম হল মিক্রোহাইলা নেফেনটিকোলা৷ মানে একেবারে বৈজ্ঞানিক নাম৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম এই ব্যাঙের অস্তিত্ব জানা যায় বোর্নিও দ্বীপে, এশিয়ায়৷ পরে জানা গেছে এই ক্ষুদ্রতম ব্যাঙেরা অনেকগুলো মহাদেশের বাসিন্দা৷ আফ্রিকা থেকে ইউরোপ হয়ে দক্ষিণ অ্যামেরিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছেন এঁদের জাতভাইরা৷

খটোমটো নাম মনে রাখা কঠিন, আসুন এই ব্যাঙবাবাজিকে টিকোলা নামে ডাকা যাক৷

তো, বিজ্ঞানীরা এতোটুকু একটা টিকোলা ব্যাঙের কথা জেনে দেখা যাচ্ছে বেশ অনেকখানি উত্তেজিত৷ কুয়ালালামপুরের বিশ্ব বিজ্ঞান গবেষণাগারের খানদানি পত্রিকা জুটাস্কার নতুন সংস্করণে এই ব্যাঙের জীবনচর্চা নিয়ে অনেক কথা লেখা হয়েছে৷ ছাপা হয়েছে বেশ কিছু ছবি৷ টিকোলার আবিষ্কর্ত্তাদের দাবি, আকারে এরা ১০.৬ থেকে ১২.৮ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়৷ কিন্তু অন্যসব দিকে যেকোন ব্যাঙের মতই এরা স্বাভাবিক৷

শুধু চেহারাখানাই যা একটু লিলিপুটের মত৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম