1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বেবি ডক’ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হল

১৯ জানুয়ারি ২০১১

হাইতির সাবেক একনায়ক জাঁ-ক্লদ দুভালিয়ের’এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ২৫ বছর পর নির্বাসন থেকে হঠাৎ দেশে ফেরার দু’দিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হলো৷

https://p.dw.com/p/zzPS
হাইতির সাবেক একনায়ক জাঁ-ক্লদ দুভালিয়েরছবি: AP

কী অভিযোগ

বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এর মধ্যে প্রধানটি হলো, সরকারি অর্থ পাচার৷ ১৯৭১ থেকে ১৯৮৬ সাল অর্থাৎ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দুভালিয়ের বা একসময় যিনি ‘বেবি ডক' নামে বেশি পরিচিত ছিলেন, তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গতকাল দিনের শুরুতে হাইতির প্রধান কৌঁসুলি প্রায় দেড় ঘন্টা কথা বলেন দুভালিয়েরের সঙ্গে৷ এরপর পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়৷ সেখানে তিনি প্রায় চার ঘন্টা ছিলেন৷ দুভালিয়েরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ছাড়াও তাঁর শাসনামলে হাজার হাজার মানুষ মারার অভিযোগ রয়েছে৷ সেজন্য তিনি যখন হঠাৎ করে দেশে ফিরলেন তখন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়৷

কেন দেশে ফিরেছেন

এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বোঝা যাচ্ছে না৷ যদিও তিনি বলেছেন যে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে তিনি এসেছেন৷ গত বছর হাইতিতে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে প্রায় আড়াই লক্ষ লোক নিহত হয়েছিল৷ ঐ ভূমিকম্পের ছাপ এখনো ভালই রয়ে গেছে৷ এছাড়া সাম্প্রতিককালে কলেরায় মারা গেছে আরও প্রায় চার হাজার জন৷ এসব সমস্যা ছাড়াও হাইতিতে এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও চলছে৷ কারণ গত নভেম্বরে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও এখন পর্যন্ত নতুন প্রেসিডেন্টের দেখা পাওয়া যায়নি৷ তাই দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রস্তুতি চলছে৷ তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দুভালিয়ের দেশে ফিরেছেন কি না সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না৷ যদিও এখন পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে তিনি সমর্থন জানান নি৷ এদিকে হাইতিতে থাকা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলছেন, দুভালিয়েরের কাছে ফ্রান্সে ফিরে যাওয়ার টিকিট রয়েছে৷

কে এই দুভালিয়ের

১৯৭১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে হাইতির প্রেসিডেন্ট হন দুভালিয়ের৷ কারণ সে সময় তাঁর বাবা মারা যান৷ দুভালিয়েরের বাবা ‘পাপা ডক' একনায়ক হিসেবে ১৯৫৭ সাল থেকে হাইতি শাসন করেছেন৷ দুভালিয়ের ছিলেন ‘প্লেবয়'৷ এছাড়া বিরোধীদের উপর দমন-নিপীড়ন চালানোর জন্যও কুখ্যাত ছিলেন তিনি৷ ১৯৮৬ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তাঁর পতন হয় এবং তিনি ফ্রান্সে চলে যান৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী