বেড়াতে গিয়ে ধর্ষিতা | পাঠক ভাবনা | DW | 15.06.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

বেড়াতে গিয়ে ধর্ষিতা

‘মানবতা যে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে, এটা তারই উদাহরণ' – কাতারে বেড়াতে গিয়ে এক ডাচ তরুণী ধর্ষিত হওয়ায় এই মন্তব্য করেন ডয়চে ভেলের এক পাঠক৷ আমাদের ফেসবুক পাতায় ধর্ষক এবং বিচারক সম্পর্কেও রয়েছে পাঠকদের নানা মন্তব্য৷

কাতারে বেড়াতে যাওয়া ডাচ তরুণীকে এক সিরীয় নাগরিক ধর্ষণ করার পর ধর্ষিতাকেই সাজা পেতে হয়েছে৷ এ সম্পর্কে মতামত জানাতে গিয়ে পাঠক ওয়াহেদুজ্জামান খান ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘সবাই বলে আরবরা সভ্য, ওদের দেশে ধর্ষণ কম হয়৷ যেই সমাজে ধর্ষিত হওয়া পাপ এবং অপরাধ সেখানে এই বিষয়টি সবাই চেপে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক৷''

আরবদের সম্পর্কে ওয়াহেদুজ্জামান খানের সাথে প্রায় একই মত পোষণ করেন ফেসবুক বন্ধু মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম৷ তিনি লিখেছেন, আরবরা নাকি খুবই অমানবিক আর সেটা তিনি সৌদি আরবে দু'বছর থাকার কারণে খুব কাছে থেকে দেখেছেন৷

জিসান শাহরিয়ার মজা করে বলছেন, ‘‘আরবদের পূর্বপুরুষ উট ছিল৷ আর এখনও তারা মানুষ হয় নাই শতভাগ৷ এরা হলো উটম্যান৷''

বাংলাদেশে ধর্ষণ করে কত ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে, এই প্রতিবেদনটি পড়ার পর সৈয়দা মহসিনা বানু সুইটি খানিকটা রসিকতা করেই ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘বিচারকও নিশ্চয় পুরুষ! আমাদের দেশই ভালো ভাই! যারা ধর্ষণ করে, তারাই বিচার করে ফেলে৷ কুনুই ঝামেলা নাইক্কা!''

সুকুমার দেওয়ানের সোজা কথা, ‘‘একেই বলে উল্টো বিচার৷''

অন্যদিকে একজন সচেতন নাগরিকের মতোই মন্তব্য আমাদের নিয়মিত পাঠক অর্জুন বৈদ্যের৷ তাঁর কথায়, ‘‘মানবতা যে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে, এটা তারই উদাহরণ ৷''

‘‘সব দোষ নারীদের'' – অনেকটা এরকমই ধারণা পাঠক মল্লিক ইসলাম ও বেলাল আনোয়ারের৷ তাঁরা মনে করেন, ডাচ মেয়েটিকে সাজা দেওয়াই নাকি সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন