1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

বেক্সিমকোর রেমডেসিভির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমোদন

২১ মে ২০২০

বেক্সিমকো ফার্মা কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ প্রশমনের ওষুধ রেমডেসিভিরের প্রথম নমুনা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে৷

https://p.dw.com/p/3caIS
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/H. McKay

অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির সম্প্রতি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এফডিএ-র অনুমোদন পেয়েছে৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের কর্মকর্তারা পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য তাদের তৈরি রেমডেসিভির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন৷ জেনেরিক রেমডেসিভির ‍ওষুধটির ব্র্যান্ড নাম বেক্সিমকো রেখেছে ‘বেমসিভির'৷ ১০০ মিলিগ্রাম রেমডেসিভির আইভি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হবে৷ 

ওষুধের প্রথম ব্যাচ হস্তান্তরের সময় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘‘সব সরকারি হাসপাতালে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ এ কারণে আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে বেমসিভির সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷''

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রেমডেসিভির অ্যামেরিকাতে কেবল ইমারজেন্সি রোগীদের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে৷ বেক্সিমকো ওষুধটি আমাদের অঞ্চলে তৈরি করতে পেরেছে৷

‘‘ওষুধটি দেওয়া হবে মুমূর্ষু ও ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের৷ তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এক্সপার্ট ও ডাক্তাররা৷ আশা করি মানুষ উপকার পাবে, হয়ত জীবন রক্ষা পাবে৷''

নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গসহ নতুন করোনা ভাইরাস নিরাময়ে কার্যকর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ তবে উপসর্গ নিরাময়ে প্রচলিত কিছু ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে৷ এগুলোর মধ্যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির ও রেমডেসিভির পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করতে স্কয়ার ফার্মা, এসকেএফ, বীকন, বেক্সিমকো, জিসকা ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস সরকারের অনুমতি পেয়েছে৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব ওষুধই কিছু না কিছু কাজ করে৷ তবে কোনো ওষুধই শতভাগ কাজ করে না৷ ডাক্তাররা তাদের প্রটোকলে কিছু ওষুধ নিয়েছেন৷

‘‘আশা করি, এ ওষুধটাও তারা নিয়ে যাবেন৷'' 

প্লাজমা দিন জীবন বাঁচান

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ওষুধ হস্তান্তরের পর বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারাই প্রথম বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে৷ ওষুধের অনুমতির জন্য প্রযোজ্য সকল বিধি বিধান অনুযায়ী আবেদনের সকল ধাপ পূরণের পর পর্যালোচনা শেষে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ২১ মে জরুরি ব্যবহারের জন্য বেক্সিমকো ফার্মাকে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন উৎপাদনের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে৷

তবে ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মা এখন শুধু কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতাল সমূহেই রেমডেসিভির (বেমসিভির) সরবরাহ করতে পারবে৷ কোনো ফার্মেসিতে ওষুধটি সরবরাহ করবে না বলে জানান নাজমুল হাসান৷ তিনি বলেন, ‘‘অনুমোদন পাওয়ার প্রথম দিনেই বেক্সিমকো ফার্মা বিপুল পরিমানে রেমডেসিভির (বেমসিভির) কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে৷''

এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)