বিড়াল বাঁচাতে গিয়ে বিপাকে ইংলিশ ক্রিকেটার
১৮ আগস্ট ২০১০ঘটনাটি গত এপ্রিল মাসের৷ মধ্যরাতে ঝড়ের বেগে পর্শে হাঁকিয়ে নটিংহ্যামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সোয়ান৷ স্পিড লেভেলের দিকে খেয়ালই ছিল না৷ যা হওয়ার তাই হলো, পুলিশ আটকে দিল৷ নিয়ে গেল থানায়৷ সোয়ানের হাতে ছিল একগুচ্ছ স্ক্রু ড্রাইভার৷ তিনি জানালেন, এই স্ক্রু ড্রাইভার কেনার জন্যই তাঁর এই নিশি অভিযান৷
রাতে স্ক্রু ড্রাইভারের কী প্রয়োজন পড়ল – তাও জানালেন সোয়ান৷ বললেন, সব বিড়ালটির জন্য৷ আসলে নিজের জন্মদিনের পার্টি থেকে অনেক রাতে ফিরেছিলেন সোয়ান, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সারা৷ বাড়ি ফিরে দেখেন নয় মাস বয়সি পোষা বিড়ালটি আটকে গেছে মেঝের পাটাতনের নিচে৷ একে উদ্ধার করতে কিছুক্ষণ কসরত করে ব্যর্থ হলেন সোয়ান৷ স্ক্রু ড্রাইভারের প্রয়োজন পড়ল, কিন্তু ঘরে খুঁজে একটিও পেলেন না৷ অগত্যা বের হতে হল বাইরে৷ স্ক্রু ড্রাইভার কিনেই বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ তাঁকে আটকায়৷
পুলিশ কর্মকর্তা স্টিভেন ডেনিস বলছেন, রাতের বেলা সোয়াইনকে ঠিক চেনা যাচ্ছিল না৷ শুধু দেখা যাচ্ছিল, একজন দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন, আর তার হাতে একগুচ্ছ স্ক্রু ড্রাইভার৷ মনে হচ্ছিল, গাড়ি চুরি করে কেউ পালাচ্ছে৷ ওই এলাকাটিতে গাড়ি চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে পুলিশ জানায়৷
ধরা পড়ার পর স্ক্রু ড্রাইভার জটিলতার অবসান ঘটলেও দেখা দেয় অন্য সমস্যা৷ পার্টিতে সোয়ানের মদ্যপানের মাত্রাটা একটু বেশিই ছিল, অন্তত গাড়ি চালানোর জন্য৷ আইনে আছে, প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ৮০ মিলিগ্রামের নিচে থাকলে গাড়ি চালানো যাবে৷ সোয়ানের রক্তে তা পাওয়া গেছে একটু বেশি, ৮৩ মিলিগ্রাম৷ তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি৷ আর তা আদালত পর্যন্ত নিয়েছে সোয়ানকে৷ গত সোমবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন এই টেস্ট ক্রিকেটার৷ তাঁর আইনজীবী ফিলিপ লুকাস অবশ্য বলছেন, সোয়ানের কিছু হবে না৷ কারণ পুলিশ বিধি মেনে তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি৷
এই অপরাধের জন্য আর কিছু হোক বা না হোক, হয়রানিতে তো পড়তে হলো সোয়ানকে৷ সোমবারের শুনানির পর আদালত আগামী ৭ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছে৷ মাত্র ২২ টেস্টে ৯৭ উইকেট নিয়ে আইসিসি ব়্যাংকিংয়ে বোলারদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন সোয়ান৷ তাই অফ স্পিনারের এই খবরটি বেশ গুরুত্ব নিয়েই এসেছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে৷ তবে সোয়ানের বিড়ালটির কী হল, তাকে উদ্ধার করা গিয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে কিছুই ছাপা হয়নি৷ হয়তো মনিবের মতো তারকাখ্যাতি নেই বলে৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন