‘‘বিশ লাখ বছরের অভিবাসন’’
মেটমানের নিয়ান্ডারথাল মিউজিয়ামে একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে, মানুষ কিভাবে চিরকালই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেছে৷
বিষয়: অভিবাসন
প্রদর্শনীর পোস্টারই বলে দিচ্ছে যে, অভিবাসন নিয়ে বিতর্কের পিছনে জাতিসত্তা থেকে শুরু করে জাতিবাদ অবধি অনেক কিছু উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে৷ তিন বর্ণের মানুষ মিলিয়ে একটি মুখ৷ কিন্তু ক’জন জানেন যে, ফর্সা রঙের মানুষ প্রথম দেখা দেয় কম-বেশি সাড়ে চার হাজার বছর আগে?
মানুষ তো শুধু সাদা বা কালো নয়
যে কারণে প্রদর্শনীর গোড়াতেই রাখা হয়েছে ব্রাজিলের শিল্পী আঞ্জেলিকা দাস-এর ‘হুমানে’ বা ‘মানুয’ প্রকল্পটিকে৷ সারি সারি মানুষের মুখ; প্রত্যেকের পিছনের পটভূমি তার গাত্রবর্ণের সঙ্গে মেলে ও এভাবে একটি মোজেক সৃষ্টি হয়৷ যাদের ছবি, তারা সবাই স্বেচ্ছায় মডেল হয়েছেন৷
ইন্টারঅ্যাক্টিভ ও মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর অঙ্গ
পুরনো আমলের সুটকেসের পাশেই রয়েছে অডিও স্টেশন ও ভিডিও, যা থেকে দর্শক তার নিজের অথবা তার পূর্বসূরিদের অভিবাসনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন৷ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে সহযোগে বিশ্বের একটি মানচিত্রে অভিবাসনের যাত্রাপথগুলি দেখানো হয়েছে৷
শিকারি, ফলকুড়ুনি, চাষি
প্রায় সাড়ে সাত হাজার বছর আগে কৃষিজীবীরা যখন প্রথম মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে আসেন, তখন এখানকার মানুষ শিকার করে অথবা ফলমূল কুড়িয়ে খেতো৷ তাদের মিশ্রণ থেকেই ধীরে ধীরে ইউরোপীয় সভ্যতা গড়ে ওঠে৷
কেন? কীভাবে? কোথা থেকে?
অতীতে কে কবে কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে, তা জানতে হলে মোবাইল ইনফরমেশন কিউবগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ জলবায়ুর পরিবর্তন ও খাদ্যাভাব বারংবার মানুষকে অভিবাসীতে পরিণত করেছে৷
তুমি কোথা থেকে এসেছ?
ভিডিও সাক্ষাৎকারে অভিবাসী ও উদ্বাস্তুরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন: কীভাবে তারা জার্মানিতে এসেছেন; কেন তারা দেশ ছেড়েছেন; জার্মান সমাজ তাদের কী ধরনের অভ্যর্থনা জানিয়েছে; দুই বা তিন প্রজন্ম আগে যে সব অভিবাসীরা জার্মানিতে আসেন, তাদের সন্তান-সন্ততি ও পৌত্র-পৌত্রীদের অভিজ্ঞতাই বা কি?
ছোটদের ভূমিকা
অভিবাসীদের সঙ্গে যে সব শিশুরা আসে, তাদের ও তাদের অভিভাবকদের জার্মান সমাজ ও জীবনধারার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে অনেক ক্ষেত্রেই কিন্ডারগার্টেন অথবা স্কুলে৷ কাজেই প্রদর্শনীর উদ্যোক্তারা ছোটদের মনও ছুঁতে চেয়েছেন৷