বিশ্বের সেরা ১০ নারী ফুটবলার
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বর্তমানে কাঁপাচ্ছেন ফুটবল ময়দান৷ এই ছবিঘরে চিনুন বিশ্বের সেরা দশজন নারী ফুটবলারকে...
আডা হেগেরবের্গ
নরওয়ের এই স্ট্রাইকার ২০১৮ সালে খবরে আসেন ব্যালন ডি’অর-জয়ী প্রথম নারী ফুটবলার হিসাবে৷ মাত্র ২৩ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার ফুটবল জগতে পরিচিত তাঁর আড়াইশ’র বেশি গোলের জন্য৷
পেরনিল হার্ডার
২০১৭ সালের প্রমীলা ইউরো টুর্নামেন্টে জার্মানির বিরুদ্ধে ডেনমার্ককে জেতাতে হার্ডারের দুটি গোলের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে বুন্ডেসলিগায় তাঁর দল ভল্ফসবুর্গের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেন তিনি৷
ওয়েন্ডি রেনার্ড
অলিম্পিক লিয়ঁ ক্লাব ও ফ্রান্সের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রেনার্ড৷ সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলা এই নারী ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হয়ে উঠেছেন৷
লুসিয়া রবের্তা টাফ ব্রঞ্জ
২০১৮ সালে তাঁর সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে অলিম্পিক লিয়ঁর হয়ে দেওয়া লুসিয়ার একটি গোল সেই মরসুমের সেরা গোলের খেতাবের জন্য মনোনীত হয়৷ শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের প্রমীলা ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তাঁর৷
মার্তা ভিয়েরা ডা সিলভা
ব্রাজিলের হয়ে ১৩৩টি ম্যাচে ১১০টি গোল করেছেন ব্যতিক্রমী এই খেলোয়াড়৷ শুধু তাঁর অসাধারণ ‘ফুটওয়ার্ক’ নয়, মার্তা বিখ্যাত হয়েছেন নারী স্বাধীনতার একজন ‘আইকন’ হিসেবেও৷ তাঁর দেশ ব্রাজিলে কমবয়সি মেয়েদের কাছে তিনি রীতিমত সেলিব্রেটি৷
জেনিফার মারোৎসজান
গত জুলাই মাসে জার্মানির সাবেক অধিনায়ক জেনিফার ফুসফুসের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন৷ কিন্তু অক্টোবরেই আবার এই মিডফিল্ডারকে মাঠে লড়াকু মনোভাবের সাথে দেখা যায়৷
আমান্ডিন হেনরি
ফ্রান্সের এই খেলোয়াড় খেলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে৷ তাঁর খ্যাতি দারুণ ফুটওয়ার্কের পাশাপাশি অসামান্য বল নিয়ন্ত্রণের জন্যেও৷
সামান্থা কের
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রমীলা সকার লিগে ৯৪টি ম্যাচে ৫৫টি গোলের রেকর্ড রয়েছে সামান্থা কেরের হাতে৷ মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেশাদারী ফুটবল শুরু করেছিলেন তিনি৷
মেগান রাপিনো
৩৩ বছর বয়সি এই মার্কিন খেলোয়াড় একাধিক টুর্নামেন্টের সাথে অলিম্পিকেও পদক জিতেছেন৷ বিশ্বখ্যাত এই খেলোয়াড় মাঠের বাইরে সমকামীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবার জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন৷
সাকি কুমাগাই
কুমাগাইয়ের দৃঢ় ডিফেন্সই ২০১৮ সালে প্রমীলা এশিয়া কাপ এনে দেয় জাপানের হাতে৷ ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে বিজয়ী গোলটিও কুমাগাইয়ের জাদুকরি পায়েরই ফসল৷