বিশ্বের কয়েকটি ‘ভূতুড়ে জাহাজ’
বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন সাগরে রহস্যময় জাহাজের দেখা পাওয়া গেছে৷ এমন কয়েকটি জাহাজের কথাই থাকছে ছবিঘরে৷
এমভি আলটা
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রিস থেকে হাইতি যাচ্ছিল এমভি আলটা৷ বারমুডা থেকে ১,৩৮০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে থাকার সময় এতে গোলযোগ দেখা দেয়৷ সেটি ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করে মার্কিন কোস্টগার্ড৷ সেই থেকে সাগরে ভাসছিল জাহাজটি৷ রবিবার সেটি আয়ারল্যান্ড উপকূলে এসে ভেড়ে৷
কায দ্বিতীয়
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ১৬৩ কিলোমিটার দূরে একে ভেসে থাকতে দেখা যায়৷ ইয়টে থাকা তিন নাবিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তাঁদের হারিয়ে যাওয়ার রহস্য এখনও জানা যায়নি৷
উত্তর কোরিয়ার জাহাজ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানের উপকূলে অনেকগুলো ‘ভুতুড়ে’ জাহাজের সন্ধান পাওয়া যায়৷ এর বেশিরভাগই উত্তর কোরিয়ার বলে জানা গেছে৷ এর মধ্যে কিছু জাহাজে মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ আর কয়েকটি থেকে জীবিত অবস্থায় নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে৷ একেবারে কেউ ছিল না, এমন জাহাজও পাওয়া গেছে৷ উদ্ধারকৃতদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ‘ডিফেক্টর’ ছাড়া সাধারণ জেলেরাও ছিলেন৷
দ্য রু-উন মারু
২০১১ সালের মার্চে সুনামির সময় জাপানের হাচিনোয়ে বন্দরে বাঁধা থাকা এই মাছ ধরা নৌকাটি ছুটে যায়৷ এরপর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি সাগরে ভাসতে থাকে৷ ২০১২ সালের এপ্রিলে আলাস্কার কাছে বিস্ফোরক দিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেয় মার্কিন কোস্টগার্ড৷
দ্য নিনা
দেয়ালে সাঁটানো ছবিতে যে পালতোলা নৌকাটি দেখতে পাচ্ছেন তার নাম দ্য নিনা৷ ২০১৩ সালে এই নৌকায় করে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিলেন ডেভিড ডাইচ, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে৷ সঙ্গে ছিলেন চারজন নাবিক৷ একসময় এটি সাগরে হারিয়ে যায়৷ পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ছবিতে ডাইচের মাকে দেখা যাচ্ছে৷
দ্য স্যাম রাতাওলাঙ্গি পিবি১৬০০
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার নৌবাহিনী এই কার্গোকে সাগরে ভেসে থাকতে দেখে৷ পরে জানা যায়, ১৭৭ মিটার দীর্ঘ কার্গোটি ইন্দোনেশিয়ার৷ ভাঙার জন্য এটি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ পথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ তাই কার্গোতে থাকা ১৩ জন নাবিক একসময় সেখান থেকে নিরাপদে সরে যান৷
এমভি লুবভ অরলোভা
সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার তৈরি ১০০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি ভাঙার জন্য নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ডমিনিকান রিপাবলিকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ যাত্রা শুরুর একদিন পরই টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ পরে এটি ডুবে যায় বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷