বিশ্বের আটটি রেকর্ড ভাঙা বই
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বইটি ঠিক কত ছোট? কোন উপন্যাস সবচেয়ে বেশিবার পড়া হয়েছে? ২৩শে এপ্রিল ছিল ইউনেস্কোর বিশ্ব পুস্তক দিবস৷ কাজেই দেরিতে হলেও, একবার বইয়ের জগতের দিকে নজর দেওয়া যাক...
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বই
১৯৯৪ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘কোডেক্স লেস্টার’ নামের নোটবইটি নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টিজ নিলাম সংস্থায় নিলাম করা হয়৷ নোটবইটি শেষমেশ কেনেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনি মানুষ বিল গেট্স, তিন কোটি আট লাখ ডলার দিয়ে৷
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ছাপা বই
গুটেনব্যার্গ বাইবেল ছাপার ছয় শতাব্দী আগেই আরেকটি মুদ্রণ পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছিল, ৮৬৮ সালে৷ বৌদ্ধধর্মের মহাযান সূত্রের প্রখ্যাত ‘হীরক সূত্রের’ এই চীনা সংস্করণটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম মুদ্রিত বই বলে গণ্য করা হয়৷ এর বিষয় হলো বুদ্ধ ও তাঁর এক শিষ্যের মধ্যে কথোপকথন৷ বইটির হরফ আর ছবিগুলি কাঠের উপর খোদাই করে, তার উপর রং লাগিয়ে পরে কাগজে ছাপা হয়েছিল৷
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বই
দেখতে পাচ্ছেন তো? এক মিলিমিটারের ১০০ ভাগের ৭৪ ভাগ বাই ৭৫ ভাগ৷ জাপানের এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বইয়ের রেকর্ডধারী৷ বইটির নাম ‘শিকি নো কুসাবানা’ (মৌসুমি ফুল), পাতার সংখ্যা ২২৷ বইটিতে বিভিন্ন ফুলের নামসহ ছোট ছোট ছবি আছে; হরফের মাপ হলো এক মিলিমিটারের ১০০ ভাগের এক ভাগ৷ প্রকাশক তোপ্পান প্রিন্টিং টাকশালে টাকা ছাপানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বইটি ছাপেন৷
বিশ্বের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত বই
বাইবেলের আরো অনেক রেকর্ড আছে, তবে খ্রিষ্টানদের এই আকর গ্রন্থের কত কপি যে সারা বিশ্বে ছাপানো হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই, যদিও গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আন্দাজ হলো আড়াইশ’ থেকে পাঁচশ’ কোটি৷ ওয়ার্ল্ড বাইবেল সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর সারা দুনিয়ায় দু’কোটি বাইবেল ছাপা হয়৷ বইটি নাকি আড়াই হাজারের বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে৷
যে উপন্যাস সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে
ডন কিখোতে, যাকে আমরা ডন কুইক্সোট বলে জানি, তাঁর কীর্তিকলাপ গত ৪০০ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ পাঠক এবং সেই সঙ্গে রিচার্ড স্ট্রাউসের মতো সংগীতস্রষ্টা ও পাবলো পিকাসোর মতো চিত্রকরদের প্রেরণা জুগিয়ে আসছে৷ মিগুয়েল দে সার্ভান্তেজের লেখা বইটি ছাপা হয়েছে ৫০ কোটি বার৷ অপরদিকে সব ক’টি হ্যারি পটার উপন্যাস মিলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ কোটি৷
বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রয়যোগ্য বই
আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পল কাহিনী সমগ্র হলো ৩২ সেন্টিমিটার পুরু এবং ওজনে আট কিলোগ্রাম৷ ৪,০৩২ পাতার বইটিতে মিস মার্পলের সমাধান করা ৩২টি গোয়েন্দা কাহিনী একত্রিত করা হয়েছে৷ হার্পারকলিন্স বইটির ৫০০ কপিতে সীমিত একটি বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করে৷
বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যজনক বই
ভয়নিচ পাণ্ডুলিপিটি লেখা এক অজ্ঞাত ভাষায় ও হরফে৷ অলঙ্করণের ছবিগুলিতে আছে নানা ধরনের নাম-না-জানা গাছপালা, এছাড়া অদ্ভুত সব দৃশ্য, যেমন চৌবাচ্চায় স্নানরতা সব নগ্ন সুন্দরী - আধারগুলি আবার নানা ধরনের পাইপ দিয়ে জোড়া৷ বইটি নাকি পঞ্চদশ শতাব্দীর এবং এককালে সম্রাট দ্বিতীয় রুডল্ফের সম্পত্তি ছিল৷
সবচেয়ে বেশি বই লিখেছেন যে লেখক
তিনি হলেন সায়েন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতা এল. রন হাবার্ড৷ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, হাবার্ডের লেখা বইয়ের সংখ্যা হলো ১,০৮৪৷ অডিও বইয়ের ক্ষেত্রেও তিনি খেতাবধারী৷ আদতে সায়েন্স ফিকশন লেখক হাবার্ড পরে তাঁর বিতর্কিত সায়েন্টোলজি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন৷