1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ মানেই থেরাপি

১১ জুন ২০১০

তা সে কেপ টাউনের ফ্যান জোনে ভিড়ের চাপে ছ’জন আহত হল, না গ্রিক প্লেয়ারদের হোটেল থেকে টাকা চুরি গেল, তা’তে কিছু আসে যায় না৷

https://p.dw.com/p/NntV
দ্রগবা’র খেলার আশাছবি: AP

ষোলো-সতেরো হাজার মানুষ যদি একসঙ্গে একটি গানের জলসা এবং সেই সঙ্গে আতসবাজি দেখার জন্য ভিড় করে, তবে একটু চাপাচাপি হয়েই থাকে৷ পরদিনই আবার বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে, আফ্রিকায় প্রথম বিশ্বকাপ৷ আর তিনজন গ্রিক প্লেয়ারের হোটেলঘর থেকে টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনা, কিংবা কেপ টাউনের কাছে একটি ওয়াইন ফার্মে ১১ জন ট্যুরিস্টের পাসপোর্ট ইত্যাদি চুরি যাওয়া, কিংবা বুধবারেই জোহানেসবার্গের উত্তরে একটি লজে স্পেনীয় এবং পোর্তুগীজ সাংবাদিকদের বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতি - এ' সব খবরই মুখরোচক এবং কিছুটা যেন প্রত্যাশিত৷ কিন্তু তা বলে তারা এই বিশ্বকাপের স্বাদটুকু নষ্ট করতে পারবে কি?

বিপদ অন্যত্র৷ আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি কি সত্যিই চরম ক্লান্ত? সে নাকি বিশ্বকাপে পৌঁছেছেই অবসাদ নিয়ে, বলেছিলেন দলের ফিটনেস কোচ ফের্নান্দো সিনিওরিনি৷ এখন অবশ্য দলের ডাক্তার ডোনাটো ভিলানি বলেছেন, স্কোয়াডের সকলেই বাঞ্ছনীয় শারীরিক অবস্থায়৷ আসল কথা হল, ফ্যানরা এবং মিডিয়া মেসিকে গত চার সপ্তাহ দেখেনি বললেই চলে৷ ক্যানাডার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপে আর্জেন্টিনার ৫-০ জয়েও সে অনুপস্থিত ছিল, হাঁটুতে একটা ছোট চোট নিয়ে৷ বস্তুত আর্জেন্টিনার হয়ে তার শেষ খেলা জার্মানির বিরুদ্ধে, মিউনিখে, পাক্কা তিন মাস আগে৷ - সেক্ষেত্রে আইভরি কোস্টের ক্যাপ্টেন দিদিয়ের ড্রোগবা আগামী মঙ্গলবার পোর্তুগালের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবে বলেই কোচ স্ভেন-গোরান এরিকসন মনে করছেন৷

ব্রাজিলের এক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সক্রাটেস এদিকে বলে ফেলেছেন যে, ব্রাজিল এবার গ্রুপ পর্যায়েই বাতিল হয়ে যেতে পারে৷ কোচ দুঙ্গা'র পরিচালনায় ব্রাজিল দলের ‘টাফ' অর্থাৎ গায়ের জোরি খেলা, এবং তাদের নতুন ‘স্টেয়িং পাওয়ার' বা দম, দুটোর কোনোটাই রোমান্টিক সক্রাটেসের পছন্দ নয়৷ এ' ধরণের খেলা নাকি ব্রাজিলের আদৎ ফুটবল শৈলীর প্রতি অপমান৷ এক কথায়, ফুটবল হবে ব্রাজিলের সাম্বা নাচের মতো৷ আজকালকার টীমের খেলা দেখে কোনো আনন্দ পান না সক্রাটেস৷

তিনি না পান, সেজন্য আছে ফুটবল পাগল হাইতির মানুষ, যারা গত জানুয়ারির ভূমিকম্পের বিভীষিকা আজও ভুলতে পারেনি৷ তবে এবার সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও বিদেশী স্পন্সরের বদান্যতায় বড় বড় স্ক্রীনে পাবলিক ভিউয়িং-এ তাদের প্রিয় টীমগুলির খেলা দেখতে পাবে হাইতির মানুষ৷ তাদের প্রিয় দলগুলি হল: ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি এবং হল্যান্ড৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক