1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ ফুটবলের ফ্যান হতে চান?

১৮ মে ২০১০

মাথায় মাকারাপা পরে ভুভুজেলা বাজান৷ এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবলে যেটা হামেসাই দেখা যাবে৷ বুঝলেন নাতো? বুঝিয়ে বলছি৷

https://p.dw.com/p/NQVw
দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল ফ্যান (ফাইল ফটো)ছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবলের ফ্যান হেলমেট মাকারাপা আর ভেঁপু ভুভুজেলা চেনে না এমন কেউ নেই বোধহয়৷ কিন্তু মাকারাপাটা আসলে কি ? দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহ্যবাহি নাচের সময় প্রায় সবার মাথাতেই দেখা যায় এই হেলমেট৷ বিশ্বে নির্মাণ কাজের সময় যে ধরনের প্লাস্টিক হেলমেট ব্যবহার করা হয়, তারই পরিবর্তিত রূপ এই মাকারাপা৷ বিভিন্ন চোখ ধাঁধাঁনো রং ব্যবহার করা হয়, তারপর ফুল অথবা শিং দিয়ে সাজানো হয় হেলমেটটি৷ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহি মাকারাপা৷ এবারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবলে মাকারাপা ক্রেজ দেখা দেবার সম্ভাবনা রয়েছে৷

মাকারাপা তৈরীর বুদ্ধিটা কার মাথায় এলো বলুন তো? ৫২ বছরের সাবেক ক্লিনার আলফ্রেড বালোয়ি ১৯৭৯ সালে উদ্ভাবন করেন এই অদ্ভূত হেলমেটটি৷ তাঁর প্রিয় ফুটবল দলের খেলা দেখার সময় নিজের মাথা রক্ষার জন্যে তাঁরই এক বন্ধু তাঁকে একটি নির্মাণ হেলমেট দিয়েছিলেন৷ বালোয়ি শিক্ষিত না হলেও, জন্মগতভাবেই যে গুণী শিল্পী তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন, মাকারাপা হেলমেট উদ্ভাবনের মধ্যে দিয়ে৷ প্রথমেই তিনি হেলমেটটি রং করেন, তারপর সেটিকে কেটে তার আকার বদলান এবং শেষে কোনোটাতে ফুল গুঁজে দেন কোনোটাতে শিং৷

আলফ্রেড বালোয়ি নিজেই নিজেকে বলেন, প্লাস্টিকের শত্রু৷ বালোয়ি তাঁর নিজের প্রদেশ উত্তরাঞ্চলের লিমপোপোতে রাস্তার ধারে বসে শুরু করেন মাকারাপা বিক্রি৷ আজ তাঁর ছেলে এবং ম্যানেজার ২৯ বছর বয়সি লাভমোর বলেন, সেই সময় থেকে তাঁরা হাজার হাজার মাকারাপা বিক্রি করেছেন৷ বালোয়ি সাংবাদিকদের কাছ থেকে দূরে থেকে হেলমেট নকশায় মনোযোগি হবার চেষ্টা করেন৷ যারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তিনি তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেন তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে৷ বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে তারা এখন জোহানেসবার্গের উইনবার্গ এলাকায় মাকারাপা তৈরীর কারখানা স্থাপন করেছেন৷ যেখানে প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে ৮০টি মাকারাপা৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুন শঙ্কর চৌধুরী