1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে পতিতাবৃত্তি বৈধ করার দাবি

৩ জুন ২০১০

বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তেই দক্ষিণ আফ্রিকার যৌন কর্মীরা এবং বিভিন্ন সংগঠন জোর দাবী জানাচ্ছে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার৷

https://p.dw.com/p/NgVn
ফাইল ফটোছবি: picture alliance/dpa

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আইন করে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার বিষয়ে গঠন করা হয়েছে একটি স্টিয়ারিং কমিটি৷ যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তারা জানাচ্ছে, যদি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এই পেশাকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় তাহলে অপরাধীদের সংখ্যা অনেক কমবে৷ বলা প্রয়োজন, দক্ষিণ আফ্রিকায় পতিতাবৃত্তি অবৈধ একটি পেশা বলে বিবেচিত হয় এবং যে বা যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের অপরাধী বলে ধরে নেওয়া হয়৷ ধরা পড়লে, জরিমানা এবং জরিমানার পরিমাণ দু'শো ডলার৷ পর পর তিনবার ধরা পড়লে একেবারে সোজা কারাগার৷

গত আট বছর ধরে কেপ টাউনে যৌন কর্মী হিসেবে কাজ করছে আনা সিবিসি৷ আনা জানাল, ‘‘আমি অনেককে দেখেছি যারা সারাক্ষণই হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে৷ এবং পুলিশ সবসময়ই পিছনে লেগে রয়েছে৷ আমি নিজেও বেশ কয়েকবার বিপদের মুখে পড়েছিলাম৷ আমি চাচ্ছি এসব সমস্যা এবং হয়রানির সমাপ্তি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই হোক৷'' আনার মতে, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন যৌনর্মীদের এখনই কাজ করার মোক্ষম সময়৷ অর্থ উপার্জনের এর চেয়ে ভালো সুযোগ হয়তো আর তারা পাবে না৷

Bildgalerie Ursachen von Armut: Sexuelle Ausbeutung/Sklaverei
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আইন করে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার চেষ্টা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বিভিন্ন সংগঠন এবং যৌন কর্মীদের জোর দাবী, অন্তত বিশ্বকাপ চলাকালে যৌন কর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য তাদের স্বল্প মেয়াদী লাইসেন্স দেয়া হোক৷ এর ফলে তারা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে৷

একটি সংগঠন ‘সেক্স ওয়ার্কার এডুকেশন এ্যান্ড এ্যাডভোকেসি টাস্কফোর্স' সংক্ষেপে স্ভেট৷ সংগঠনের কর্মী ডায়ান মাসাভি বলেন, ‘‘পুলিশ সারাক্ষণই যৌন কর্মীদের পিছনে লেগে রয়েছে৷ এর ফলে কেউই ঠিকমত কাজ করতে পারছে না৷ আমরা চাচ্ছি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে৷''

এসব যৌন কর্মীদের খুব দ্রুত বেশ কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চায় স্ভেট৷ সবসময় কনডম সঙ্গে রাখা, নিরাপদ সহবাস - এ ধরণের আরো অনেক বিষয় নিয়ে যৌন কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চায় স্ভেট৷

ফিফার সঙ্গেও আলোচনা করছে বিভিন্ন সংগঠন৷ যৌন কর্মীদের সুস্বাস্থ্য, ফুটবল প্রেমীদের সুস্বাস্থ্য, বিনামূল্যে কনডম বিতরণ - সব কিছুই তুলে ধরা হচ্ছে ফিফার কাছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী