বিশুদ্ধ বাতাসের স্বাদ দেয় যে টাওয়ার
দূষিত নগরে বিশুদ্ধ বাতাসের স্বাদ দিতে শুরু হয়েছে এক অভিনব প্রকল্প৷ শুধু বিশুদ্ধ বাতাস নয়, গহনাও দেয় এই প্রকল্প৷
এই ধরিত্রীর নয়!
স্মগ বা ধোঁয়া ও কুয়াশার মিশ্রন মুক্ত টাওয়ার দেখতে খু্বই আধুনিক, তবে এটির কাজ সাধারণ: বিশুদ্ধ বাতাস দেয়া৷
আশেপাশের বাতাস বিশুদ্ধ করা
টাওয়ারের ভেতরে রয়েছে খুবই কার্যকর এয়ার ফিল্টার, যেটি খুব কম জ্বালানি ব্যবহার করে, কিন্তু বাতাসে ভেসে বেড়ানো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাও আটকে ফেলে৷ ফলে টাওয়ারের আশেপাশের বাতাস নগরীর তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি পরিষ্কার থাকে৷
মুক্তভাবে শ্বাস নেয়ার জায়গা
নিঃসন্দেহে একটি টাওয়ারের পক্ষে পুরো শহরের বাতাস পরিষ্কার করা সম্ভব নয়৷ তাই এটি স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষকে উৎসাহ দেয়া এবং তাদের জন্য এমন একটি জায়গা তৈরি করা যেখানে তারা সমবেত হতে পারবে এবং মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারবে৷ এমনকি বেইজিংয়ের মতো দূষিত শহরেও তা সম্ভব৷
কিন্তু ধুলা দিয়ে কী করা হবে?
যেহেতু রোসেনগার্ডে এমন এক ভবিষ্যতে বিশ্বাস করেন, যেখানে আবর্জনা বলে কিছু থাকবে না, তাই তিনি ধুলিকণাগুলোকে কাজে লাগানোর এক উপায়ও যোগ করেছেন স্মগ মুক্ত টাওয়ারে৷
মূল্যবান কিছু একটা
রোসেনগার্ডের দল ঠিক করেছে দূষিত বাতাস থেকে সংগৃহীত ধুলিকণা ত্রিশ মিনিট ধরে কম্প্রেস করে এক্রাইলিক দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে৷ ফলে সেগুলো অত্যাশ্চর্য কিউবে পরিনত হয় যা দিয়ে এরকম ‘স্মগমুক্ত রিং’ তৈরি করা যায়৷
একটি সাহসী স্বপ্ন
এই প্রকল্পের পেছনে রয়েছেন ডাচ ডিজাইনার ডান রোসেনগার্ড৷ তিনি মনে করেন, বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়াটা মানবাধিকার৷ আর সেটা নিশ্চিত করতেই এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে চান রোসেনগার্ড৷