1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের এইডস রোগীরা

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক২৫ অক্টোবর ২০১৪

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়৷ এরপর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এইডস রোগীর সংখ্যা হাজার পেরিয়েছে৷ তবে সরকারের উদাসীনতায় এবার তাঁরা হয়ত বিপদে পড়তে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1DbTa
Bangladesh Welt AIDS Tag
ছবি: picture-alliance/dpa

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চলতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে সংসদকে জানান, ১৯৮৯ সাল থেকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১,২৯৯ জন এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে

তিনি বলেন, এনজিও পরিচালিত ছয়টি কেন্দ্র থেকে সরকারি অর্থায়নে ক্রয় করা ‘অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল' বা এআরভি ওষুধ বিনামূল্যে এইডস রোগীদের প্রদান করা হচ্ছে৷ এছাড়া আটটি সরকারি হাসপাতালে সিডি-৪ সেন্টারের মাধ্যমে এইডস রোগীদের শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করাসহ এ সব প্রতিষ্ঠানসমূহে রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ‘কাউন্সেলিং' সেবা দেয়া হচ্ছে৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে কথা হয় বেসরকারি সংস্থা ‘মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ'-এর নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি-র সঙ্গে৷ এই সংস্থা সহ আরও দুটি প্রতিষ্ঠান – আশার আলো সোসাইটিকনফিডেনশিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ) – বাংলাদেশের এইডস রোগীদের এআরভি ওষুধ দেয়া সহ অন্যান্য সেবা দিয়ে থাকে৷ সরকার ও ‘দ্য গ্লোবাল ফান্ড'-এর পক্ষ থেকে ওষুধ কেনার তহবিল পায় এই তিন সংস্থা৷

গত ১০ অক্টোবর ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুক্তি দাবি করেন, সরকারি হাসপাতাল থেকে এখনও সেবা দেয়া শুরু হয়নি৷ ‘‘বার বার সময় বাড়িয়ে সবশেষ এই মাস (অক্টোবর) থেকে সেবা চালুর কথা থাকলেও এখনও হয়নি৷''

এর ফলে এইডস রোগীরা বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি৷ কারণ, ‘‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে বলে গ্লোবাল ফান্ড আমাদের (তিন সংস্থা) এআরভি-র জন্য আর অর্থ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে এই ডিসেম্বরেই আমাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এরপর রোগীরা কোথা থেকে কীভাবে এআরভি নেবেন সেটা কেউ বলতে পারছে না৷ সরকারেরও এতে মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না৷''