1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি দূতাবাস চায় বিশেষ নিরাপত্তা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গুলশান হামলার পর থেকে বিদেশিরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ দূতাবাসগুলো উদ্বেগের কথা সরকারকে জানিয়েছে, দূতাবাসগুলোর জন্য সশস্ত্র বেসরকারি বাহিনীর প্রস্তাবও দিয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশ আপাতত শুধু ভাড়ায় আনসার দিতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/1Jthg
গুলশানে বিশেষ বাস চলাচল
ছবি: DW

অবশ্য দূতাবাস চাইলে নিরাপত্তার জন্য এপিসি, অর্থাৎ আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার আনতে পারবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷

জানা গেছে, সশস্ত্র বেসরকারি বাহিনীর পরিবর্তে সরকার বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র আনসার ভাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে৷ আর বিদেশি দূতাবাসগুলোকে এজন্য আনসার প্রতি দিতে হবে ২৫০ ডলার করে, যা বাংলাদেশি মূদ্রামানে ২০ হাজার টাকা৷

গত রবিবার জাতীয় টাস্কফোর্সের চতুর্থ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় এবং মঙ্গলবার দূতাবাসগুলিকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটি বিদেশি মিশনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়ে থাকে ৷ কোনো দূতাবাস যদি বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করে তাহলে তারা সশস্ত্র আনসার ভাড়া করতে পারবে৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বেসরকারি সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সুযোগ নাই এবং এটি দিতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে৷ এজন্য আনসার বাহিনীর সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে এ কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘যেসব আনসার সদস্য এ কাজে নিয়োজিত হবে তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেবো৷ তাদের আচার-ব্যবহার ও ভাষা শিক্ষা দেয়া হবে৷''

তবে কোনো দূতাবাস যদি এপিসি (আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য আনতে চায় তবে সরকার সেটি অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সূত্র৷

সাধারনভাবে এক মিশন, একটি এপিসি এ নিয়ম করা হলেও কোনো মিশন বেশি আনতে চাইলে বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে আপত্তি করবেনা৷

গত বছর ইটালিয়ান নাগরিক তাভেল্লা ও জাপানি নাগরিক হোসিও কুনি নিহত হবার পরে বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে৷ এরপর গত জুলাইয়ে গুলশান হামলার পর বিদেশি মিশনগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি কুটনীতিক ও দূতাবাস তাদের নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের প্রস্তাব করে৷

কয়েকটি দূতাবাস তাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি বরাদ্দেরও অনুরোধ জানিয়ে তাদের নিজ নিজ সরকারের কাছে৷ জাপনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের সরকারের কাছে বাজেট বরাদ্দ ৮.৩ ভাগ বড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যার পরিমান ৬.৯৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার৷ এই অর্থ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাপানি নাগরিক ও মিশনের নিরাপত্তায় ব্যয় হবে৷

মাসুদুর রহমান

এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গুলশান হামলার পর দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে বিদেশি মিশন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ কূটনৈতিক পল্লিতে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ এরপরও কেউ চাইলে আনসার নিতে পারেন৷ সেজন্য আবেদন করলে নিয়ম মেনে আনসার দেয়া হবে৷''

প্রসঙ্গত কুটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আলাদা পরিবহন ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য