বিদায় দিগন্তবিস্তৃত ক্ষেত
যেভাবে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে যথেষ্ট চাষযোগ্য জমি যে থাকবে না, তা নিশ্চিত৷ তাহলে ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনের চেহারা কেমন হবে?
ভার্টিকাল ফার্মিং
উন্নত দেশের বড় হাইটেক শহরগুলো এখন ঝুঁকেছে ভার্টিকাল ফার্মিংয়ে৷ বড় বড় দালানের নকশা করা হচ্ছে, যে দালান হবে আসলে একেকটি দিগন্তবিস্তৃত ক্ষেতের বিকল্প৷
শহুরে ফার্মিংয়ে নতুনত্ব
ভবনের বারান্দায় বা ছাদে বাগান করার আইডিয়াও এখন পুরনো হয়ে গেছে৷ যেমন, জার্মানির মিউনিখভিত্তিক নতুন কোম্পানি ‘অ্যাগ্রিল্যুশন’ বলছে, কিউবিকলের মধ্যে সবজি জন্মানো হবে৷ সেক্ষেত্রে তাপ, আর্দ্রতা ও আলো হবে একেবারে নিয়ন্ত্রিত৷ তারা বলছে, প্রতি ৭ থেকে ৩২ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে৷
ল্যাবে তৈরি মাংস
২০১৩ সালেই ডাচ গবেষক পেটার ফ্যেরস্ট্রাটে এই চমকটি জনসন্মুখে এনেছিলেন৷ তিনি পৃথিবীর প্রথম ল্যাবে তৈরি মাংসের বার্গার দেখিয়েছিলেন৷ গরুর স্টেম সেল থেকে মাংসের পেটি বানান তিনি৷ এই উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আরো কাজ করছেন৷ এরই মধ্যে অনেকেই তাঁর স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে ফেলেছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনও৷
এক জনের জন্য ৩.৬ বর্গমিটার
জার্মানির বিজ্ঞান গবেষণাভিত্তিক ফ্রাউয়েনহোফার ইনস্টিটিউট দেখিয়েছে যে, একজন শহুরে অধিবাসীর খাবারের যোগানের জন্য মাত্র ৩.৬ বর্গমিটার বা ৩৮.৭ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন৷ অ্যাকুয়াপোনিক পদ্ধতিতে সবজি ও বদ্ধ জায়গায় মাছ চাষ এবং ভার্টিকাল ফার্মিংয়ের মাধ্যমে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব৷
মেগাসিটি ম্যাজিক
জাতিসংঘ হিসেব করে দেখিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯ বিলিয়ন৷ এর বেশিরভাগই থাকবেন বড় শহরগুলোতে৷ পৃথিবীর ৮০ ভাগ খাবারই ভোগ করবেন এসব শহরের বাসিন্দারা৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই চাহিদা কী এই মেগাসিটিগুলো মেটাতে পারবে?