1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকাচ্ছে চীন

৩০ মার্চ ২০১১

বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণার তথ্য তখনই মানুষ জানতে পারে, যখন তা প্রকাশ পায় আন্তর্জাতিক সব বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নালে৷ কোন দেশের কত এ ধরণের গবেষণাপত্র বের হলো, সেটা থেকেই নির্ধারিত হয়, তারা কতটা এগিয়ে আবিষ্কার ও গবেষণায়৷

https://p.dw.com/p/10jtW
ছবি: AP

শত কোটি মানুষের দেশ চীন৷ আজ নানা কারণে চীনের নাম বিশ্বব্যাপী৷ সেই চীন আবার শিরোনামে৷ এবারের শিরোনাম বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণাকে কেন্দ্র করে৷ লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি এবিষয়ে সদ্য যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক জার্নালে চীনা গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন সংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের ঠিক পরেই অবস্থান করছে৷ অর্থাৎ এক নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আর দুই নম্বরে চীন৷ রয়্যাল সোসাইটির ধারণা, তাদের আগের প্রক্ষেপণকে পিছনে ফেলে ২০২০ সালের আগেই চীন এ ক্ষেত্রে পৌঁছে যাবে এক নম্বরে৷ ইতিমধ্যেই তারা টপকে গেছে ব্রিটিশ গবেষকদের৷ শীর্ষ দশের দেশগুলোতে এখনো পশ্চিমাদেরই প্রাধান্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তবে তাদের গবেষণার সংখ্যা কিন্তু ক্রমেই কমছে৷ এদিকে, ব্রাজিল কিংবা ভারতের গবেষণা কর্মও বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে৷

যে চীনের কথা বলা হচ্ছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই দেশটির আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের তালিকায় ছিল ৬ নম্বরে৷ আর ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তারা ক্রমেই এ ক্ষেত্রে উপরে উঠতে থাকে৷ অন্যদিকে, এশিয়ার অপর দেশ জাপানকেও পিছনে ফেলে দেয় তারা একই সময়ে৷ চীনের এ ক্ষেত্রে অবদান ১০ দশমিক ২ শতাংশ৷

তবে শীর্ষে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণালব্ধ প্রকাশনার পরিমাণটা কিন্তু কমতির দিকেই৷ আগের হিসাবে তারা এ ধরণের গবেষণা প্রতিবেদনের যোগান দিয়েছিল ২৬ দশমিক ৪ ভাগ, সেই পরিমাণটা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২ শতাংশে৷ ব্রিটেনের সাত দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ৷ জাপানের ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ৷ জার্মানির অবস্থান এ ক্ষেত্রে পঞ্চম৷ তারা যোগান দিয়েছে ৬ শতাংশ৷ ৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে নতুন এই অবস্থান৷

চীন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কী করে এক নম্বরে আসবে? এ কথার উত্তরে রয়্যাল সোসাইটির মত, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচুর গবেষক নানা গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত৷ আর এ সব কাজের ফলাফল যখন প্রকাশ করা হবে, তখন তো তারা সামনে এগিয়ে যাবেই!

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন