বিকল্প জ্বালানির পথে জার্মানি
২৭ মার্চ ২০১১জার্মানির প্রায় ১৭ শতাংশ বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি থেকে৷ অনেকেই মনে করেন, শতকরা একশ ভাগ জ্বালানিই প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান থেকে উৎপন্ন করা সম্ভব৷ তবে অনেকেই আবার এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন৷
দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, জার্মানিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে৷ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন – গত দশ বছরে এসব প্রাকৃতিক উপাদান থেকে জ্বালানির উৎপাদন বেড়েছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ শুধু বায়ু শক্তি থেকেই এসেছে প্রায় ২৭ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ৷ এছাড়াও রয়েছে কয়লা, সৌর শক্তি এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মত উপকরণ, যা থেকে জ্বালানি উৎপন্ন করা যেতে পারে৷
কিন্তু এরপরও বিভিন্ন দেশ পরমাণু চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আগ্রহী৷
জাপানের ফুকুশিমায় পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণের পর এসব প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর অনেক দেশই ঝুঁকে পড়বে৷ জার্মানির সবুজ দলের মুখপাত্র রাজনৈতিক হান্স ইয়োসেফ ফেল বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই একথা জানান৷ তিনি আরো জানান, শুধু জার্মানি নয় সারা বিশ্বই এখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে আগ্রহী হবে৷ ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে জার্মানির প্রায় ৩০ শতাংশ জ্বালানী পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে৷ তবে জার্মান সরকার তা ২০ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে৷
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হলগার গাসনার জানান,‘‘আমরা বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তির পেছনে অনেক অর্থ খরচ করছি৷ আমাদের লক্ষ্য হল, যত পয়সা খরচ করা হচ্ছে, প্রযুক্তির সাহায্যে ঠিক সেই পরিমাণে বিদ্যুৎ যে উৎপন্ন করা সম্ভব হয়৷ বায়ু শক্তি থেকে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ যেন আমরা উৎপন্ন করতে পারি৷'' তিনি আরো জানান, ‘‘এর সঙ্গে শুধু বায়ু শক্তি নয়, সৌরশক্তিও জড়িত৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন