1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিএনপি কোনো আসনে ৪০০ ভোট পাবে, তা অবিশ্বাস্য'

১৩ নভেম্বর ২০২০

ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক টকশোতে এমন মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী৷ গত নির্বাচনে কারচুপির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি তা বলেন৷

https://p.dw.com/p/3lH8q
Bangladesch | Talkshow | Khaled Muhiuddin
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স৷ এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন: গাড়ি কেন পোড়ে, কে পোড়ায়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনায় উঠে আসে ২০১৮ সালের নির্বাচনেকারচুপির কথা, এর সাথে জড়িত দুর্বৃত্তায়ন ও ভয়ের রাজনীতির প্রসঙ্গ৷ সিরাজগঞ্জ-১, বরিশাল-১সহ বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রের সন্দেহজনক ফলাফলের প্রসঙ্গ উঠলে প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এই সংখ্যাগুলি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়না৷ আমি মনে করিনা কোনো আসনে বিএনপি ৪০০টি ভোট পেতে পারে৷''

এই দাবির ভিত্তি হিসাবে তিনি বলেন বিএনপির রাজনীতির বর্তমান ধারার কথা৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন ফলাফল সম্ভব হয় কারণ বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতির ধারার কারণে তাদের ভোটাররাই ভোট দিতে যায় না৷ তারা নির্বাচনের কাজে প্রথম দশ-পনেরোদিন মাঠে ছিল, এরপর থেকে তারা শুধু অভিযুক্ত করার রাজনীতি শুরু করে৷ বিএনপি ভোটের রাজনীতি করেনা, তারা অসুস্থ রাজনীতি করে, জনগণের সাথে থাকেনা৷''

এর উত্তরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সঠিক নয়৷ আমরা কখনোই আধা-মনোযোগ দিয়ে কিছু করিনি৷ আমরা পুরো অংশগ্রহণ করছি, নিয়মনীতি মেনেই করেছি৷ গত নির্বাচনে আমরা এক হাজার ৭০০ এজেন্ট দিয়েছি, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি পাঁচ দিন ধরে৷ আমাদের ২৩৫ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে৷ নির্বাচনের দুইদিন আগে থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে খালি হাতে কীভাবে যুদ্ধ করবেন? মারধর করে নির্বাচনকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবুও, এর মধ্যেও যারা গেছে তাদেরকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷''

বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন যে, এমন কোনো অভিযোগের কথা তাঁরা জানেননা৷ কিন্তু এমরান সালেহ প্রিন্সের মত, ভয়ের আবহ থাকার কারণে মুক্তভাবে নির্বাচনি বা অন্যান্য রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারছে না বিএনপি৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে ব্যর্থ, তারা দুর্নীতি করেছে৷ এরশাদ আমলেও আমরা যা ন্যূনতম রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেখেছি, তা এখন নাই৷ আমার সেটা বলতে লজ্জা লাগছে৷''

এছাড়া, আজকের পর্বে আলোচিত হয় দুই দলের জনসংযোগ, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ও বিরোধীপক্ষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়ও৷

এসএস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য