বায়ার্ন শালকে’র চেয়ে এখনও এগিয়ে
১৮ এপ্রিল ২০১০দুপুরের খেলাটায় শালকে বোরুসিয়া মোয়েনশেনগ্লাডবাখ'কে ৩-১ গোলে হারাল বেশ চ্যাম্পিয়নসুলভ খেলেই৷ কিন্তু সন্ধ্যার খেলায় বায়ার্নের কাছ থেকে যে উত্তর আসল, তা'তে শালকে ফ্যানদের চমকে যাবারই কথা৷ হ্যানোভার যতো দীনহীন টীম হোক না কেন, তাকে একটা নয়, দু'টো নয়, সাত গোল দিয়ে বাড়ি পাঠানোটা যেন ফুটবলের দুনিয়াতেও অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে৷ হ্যানোভার ৯৬-কে অন্তত একটা গোল করতে দিলে তো হতো? তা'ও নয়৷ ৭-০, তো ৭-০ই৷ কে যেন বলছিলেন: স্কোর দেখে ফুটবল না ক্রিকেট, বোঝা দায়৷
তার মধ্যে তিনটে গোল করেছে আবার বায়ার্নদের ওলন্দাজ গোলন্দাজ আরিয়েন রবেন৷ বায়ার্ন কোচ লুই ফ্যান গালের এই নেদারল্যান্ডস কনেকশনটা যে বায়ার্নের পক্ষে এমন সোনা ফলাবে, তা কে ভাবতে পেরেছিল৷ - কিন্তু শালকের কোচ আবার চ্যাম্পিয়ন-মেকার ফেলিক্স মাগাথ, যাঁকে সাধারণত কখনোই চ্যাম্পিয়ন-মেকিং-এর কথা বলতে শোনা যায় না৷ সেই মাগাথ এবার মোয়েনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ম্যাচটির পর পরিষ্কার বলে ফেলেছেন, হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়নশিপই এবার শালকের লক্ষ্য৷ অবশ্য এর কতোটা যে মাগাথের নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি, তা বলা শক্ত৷ হয়তো পরোক্ষভাবে কুরানি এ্যান্ড কোম্পানিকে বলে দিচ্ছেন, এবার কোনদিকে যেতে হবে৷ আহা, বায়ার্নের সাত গোলে মাগাথের প্রতিক্রিয়ার কথাটা যদি জানা যেতো!
বায়ার লেভারকুজেন কিছুদিন আগে নিজেরাই তালিকার শীর্ষে ছিল৷ শনিবার স্টুটগার্টের কাছে ১-২ গোলে হারার পর তাদের খেতাবের আশা চূড়ান্তভাবে ছাড়তে হচ্ছে৷ আরো বড় কথা: চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ালিফিকেশনটাও শেষ মূহুর্তে হাতছাড়া হতে পারে৷ কেননা পয়েন্টের তালিকায় তৃতীয় স্থানে এখন ভের্ডার ব্রেমেন৷ লেভারকুজেনের চাইতে তাদের গোল ডিফারেন্সটা ভালো৷ এবং সেটা হয়েছে ঐ শনিবারের খেলাতেই, গতবারের বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন ভোলফসবুর্গকে ৪-২ গোলে হারিয়ে৷ হামবুর্গ নিজেদের মাঠে মাইঞ্জের কাছে হেরেছে ০-১ গোলে৷ অবশ্য নিছক ‘স্পিরিট' যাকে বলে, এই মাইঞ্জ দলটির তা প্রভূত পরিমাণে আছে৷ ফ্রাইবুর্গ নুরেমবের্গকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্টের মই বেয়ে রেলিগেশনের খানাডোবা থেকে বাঁচবার সম্ভাবনা দেখছে৷ ও হ্যাঁ, ফ্রাইবুর্গের কোচ হলেন রবিন ডুট৷ নামটা বুঝলেন না? রবিন দত্ত৷ ওনার বাবা নাকি কলকাতার লোক৷ একবার আলাপ করে দেখতে হবে৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম