1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়তি ফুটেজ নিয়ে আবারও আসছে ‘অবতার’

২৬ আগস্ট ২০১০

‘অবতার’ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সিনেমা৷ ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পায় ছবিটি৷ যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশে এ সপ্তাহে আবারও মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি৷

https://p.dw.com/p/Owid
ছবি: 20th Century Fox

তবে এবার থাকছে অতিরিক্ত নয় মিনিটের ভিডিও ফুটেজ যা প্রথমবার দেখানো হয়নি৷

টাইটানিক ছবির পরিচালক জেমস ক্যামেরনের মহাকাব্যিক সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘অবতার'৷ পরিচালক এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান চরিত্র জেক স্কালি ও তার আদিবাসী নায়িকা নাভি'র ভালোবাসার দৃশ্যটিই যোগ করা হয়েছে নতুন করে৷ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নতুন এই ভার্সনটি একশ' উনসত্তর মিনিটের এবং কেবল থ্রি-ডি থিয়েটারে দেখা যাবে সিনেমাটি৷

ছবিটির চিত্রনাট্যও জেমস ক্যামেরনেরই লেখা৷ ছবিটির কাহিনী ২১৫৪ সালের কাল্পনিক ভিনগ্রহের চাঁদ প্যানডোরাকে নিয়ে৷ সেখানে বাস করেন আদি জনগোষ্ঠী ওমোতিকায়া৷ প্রকৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্ম হয়ে থাকে এই জাতি৷ কিন্তু অতি মূল্যবান খনিজ পদার্থ আনাবটেনিয়াম রয়েছে সেখানেই৷ মূল্যবান সেই খনিজ পদার্থ আনার জন্য পৃথিবী থেকে একদল মানুষ সেখানে যান৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণ, পরিবেশ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লড়াকু স্বভাবের কাছে পরাজিত হন তাঁরা৷

ছবিটির চিত্রনাট্যের ৮০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ক্যামেরন লিখেছিলেন ১৯৯৪ সালেই৷ চেয়েছিলেন এই ছবিতে কিছু স্পেশাল এফেক্ট ব্যবহার করতে৷ কিন্তু তখনও তেমন কোনো প্রযুক্তি ছিলনা৷ তাই অপেক্ষা করতে হয়েছিলো তাঁকে৷ ১৯৯৬ সালে ঠিক করেন, তাঁর নির্মীয়মাণ ছবি টাইটানিক'এর পরই এই ছবিটির কাজ ধরবেন৷ ছবিটি প্রচলিত দ্বিমাত্রিক প্রোজেক্টরের পাশাপাশি ত্রিমাত্রিক প্রোজেক্টরের জন্যও তৈরি করা হয়েছে৷ আর এই ছবিটির জন্য পরিচালক ক্যামেরন উদ্ভাবন করেন নতুন এক ক্যামেরা – যার মাধ্যমে অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মুখভঙ্গির সঞ্চালন ডিজিটাল রেকর্ড করে অ্যানিমেট করা চরিত্রের ওপর বসানো যায়৷ এরইমধ্যে সিনেমাটি ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে এবং ব্লু-রে ডিস্কগুলোর মধ্যে এই ছবিটির ডিস্কই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে৷ আর ছবিটি যখন দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা করেছিলো তখনই ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছবিটি ধারাবাহিক করার৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন