1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বালোতেল্লি

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

নাপোলির বিরুদ্ধে খেলায় রেফারিকে অপমান করার দায়ে তিনটি ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন বালোতেল্লি৷ মিলানের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি দৃশ্যত চটেছেন খুব৷ সাংবাদিকদের সামনেই বলে ফেলেছেন, ‘ও তো আর খোকা নয়৷'

https://p.dw.com/p/19oHA
Italian forward Mario Balotelli celebrates after scoring the 0-2 during the UEFA EURO 2012 semi-final soccer match Germany vs. Italy at the National Stadium in Warsaw, Poland, 28 June 2012. Photo: Marcus Brandt dpa (Please refer to chapters 7 and 8 of http://dpaq.de/Ziovh for UEFA Euro 2012 Terms & Conditions) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ইটালির জাতীয় দলের যে খেলোয়াড়টির নাম – এবং বিভিন্ন সাজ ও ভঙ্গিমা – বিশ্বের সব ফুটবলমোদী জানেন ও চেনেন, তিনি হলেন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় মারিও বালোতেল্লি৷ বাবা-মা এসেছিলেন ঘানা থেকে৷ পরে বালোতেল্লি পরিবার তাঁকে দত্তক নেন, এই সব কাহিনি প্রচলিত আছে৷

আসল কাহিনি হল: বালোতেল্লির জন্ম ১৯৯০ সালে, ইটালিতেই৷ তিন বছর বয়সে তাঁকে বালোতেল্লি পরিবারের হাতে দেওয়া হয়, মানুষ করার জন্য৷ বালোতেল্লি পরিবার কিন্তু কখনোই মারিও-কে দত্তক নেননি, কাজেই মারিও তাঁর ১৮ বছর বয়স অবধি ইটালীয় নাগরিকত্ব পাননি৷

খ্যাতির কারণ

যাই হোক, বালোতেল্লি আজ ইটালি তথা বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত তিনটি কারণে: প্রথমত, ফরোয়ার্ড হিসেবে তাঁর আক্রমণাত্মক খেলা; দ্বিতীয়ত, গোল করার পর জার্সি খুলে ফেলে বীর মল্ল সুলভ কষ্টিপাথরে কাটা শরীরটি প্রদর্শন করার স্বভাব (যে জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখাতে পারেন!); তৃতীয়ত, স্টেডিয়ামে জাতিবাদী মন্তব্যের লক্ষ্য হওয়া এবং সেই অনুপাতে বালোতেল্লি-সুলভ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করা৷

epa03286769 Italy's Mario Balotelli (R) gets a yellow card for taking off his shirt after scoring the 2-0 by referee Stephane Lannoy of France during the semi final match of the UEFA EURO 2012 between Germany and Italy in Warsaw, Poland, 28 June 2012. EPA/BARTLOMIEJ ZBOROWSKI UEFA Terms and Conditions apply http://www.epa.eu/downloads/UEFA-EURO2012-TCS.pdf +++(c) dpa - Bildfunk+++
রেফারির উপর হম্বিতম্বি করার জন্য বালোতেল্লিকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখতে হয়ছবি: picture-alliance/dpa

ধীরে ধীরে আরো একটি বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে জুটছে: সেটি হল, রেফারিদের সঙ্গে বিরোধ৷ বিপক্ষ দলের প্লেয়াররা নাকি কারণে-অকারণে বালোতেল্লিকে ফাউল করে থাকে এবং রেফারিরা তা দেখেও দেখেন না – এই হল বালোতেল্লি-র উষ্মার কাল্পনিক কিংবা বাস্তব কারণ৷ রেফারিরা দেখেন না মানে বালোতেল্লি ফ্রি-কিকটা পান না৷

মাথা গরম

গত রবিবার নাপোলির বিরুদ্ধে খেলায় ঠিক সেই ধরনেরই একটা ঘটনা ঘটেছিল, তবে একটু অন্যভাবে৷ খেলায় মিলান হারে ২-১ গোলে; সেই সঙ্গে বালোতেল্লি একটি পেনাল্টি মিস করেন৷ চূড়ান্ত হুইসেলের পর রেফারির উপর হম্বিতম্বি করার জন্য বালোতেল্লিকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখতে হয়৷

দু'বার হলুদ মানে একবার লাল৷ তাই বালোতেল্লি এমনিতেই পরের ম্যাচটার জন্য সাসপেন্ড হতেন৷ সোমবার আবার তাঁকে আরো দু'টি ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়৷ অর্থাৎ বালোতেল্লি বোলোনিয়া, সাম্পদোরিয়া এবং ইউভেন্তুসের বিরুদ্ধে খেলাগুলোতে মাঠে নামতে পারবেন না৷ এমনকি অক্টোবরে ইটালির পরের দু'টো বিশ্বকাপ থেকেও তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে, কেননা ইটালির কোচ সোজারে প্রান্দেল্লি শৃঙ্খলা পছন্দ করেন৷

আদর্শ মারিও

ওদিকে মিলানের কোচ মাসমিলিয়ানো আলেগ্রি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘মারিও তো আর খোকা নয়, ওর ২৩ বছর বয়স এবং ওর নিজেকে বদলানো দরকার৷ ও একজন সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন কিন্তু ওর রেফারিদের প্রতি মনোভাব বদলানো প্রয়োজন৷ একজন চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য সঠিক আচরণ করা দরকার কেননা তোমাকে যারা দেখছে, তাদের কাছে তুমি আদর্শ৷''

আলেগ্রি যোগ করেন যে, বালোতেল্লির ঐ মনোভাবের কারণেই রেফারিদের তাঁকে ফ্রি-কিক দিতে আপত্তি৷ ‘‘মারিও-র উচিত মারিও-কে বাঁচাতে রেফারিদের সাহায্য করা৷ রেফারিরা ওকে অরক্ষিত অবস্থায় রেখেছেন কেননা তারা ওর নেতিবাচক মনোভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন৷''

এ সবই মিষ্টি করে বলা: রেফারিদের চটিও না, নয়তো ফাউল পাবে না৷ যে কথাটা মারিও বালোতেল্লির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷

এসি/এসবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য